অনলাইন নিউজ ডেক্স : বাঁধাকপি দিয়ে কোনো পদ তৈরির আগে তা ভালোভাবে পরিষ্কার করা জরুরিবাঁধাকপি দিয়ে কোনো পদ তৈরির আগে তা ভালোভাবে পরিষ্কার করা জরুরি।শীতের মুখরোচক সবজি বাঁধাকপি। ভাতের সঙ্গে তো খাওয়া হয়ই, নাশতার উপকরণ হিসেবেও জনপ্রিয়। তবে কৃষকের হাত থেকে আপনার রান্নাঘর পর্যন্ত পৌঁছাতে পৌঁছাতে বাঁধাকপির গায়ে ময়লা–আবর্জনা লেগে যেতেই পারে।
কৃষকের ব্যবহৃত সার কিংবা কীটনাশকের কিছু অংশও রয়ে যেতে পারে বাঁধাকপির গায়ে। তাই বাঁধাকপি দিয়ে কোনো পদ তৈরির আগে তা ভালোভাবে পরিষ্কার করা জরুরি। আবার এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজটি করতে গিয়ে বাঁধাকপির পুষ্টি উপাদান যেন হারিয়ে না যায়, সেদিকেও খেয়াল রাখা প্রয়োজন।কৃষকের হাত থেকে রান্নাঘর পর্যন্ত পৌঁছাতে পৌঁছাতে বাঁধাকপির গায়ে ময়লা–আবর্জনা লেগে যেতেই পারে।বাঁধাকপির অনেক পরত বা স্তর। তাই অন্যান্য সবজির চেয়ে পরিষ্কার করা একটু কঠিন বটে। এর ভেতরের দিকের কোনো পরতে পোকামাকড় লুকিয়ে থাকতে পারে, পরিবহনের সময় কোনো পরত হতে পারে ক্ষতিগ্রস্ত। আদতে বাঁধাকপি কেনার সময় এত কিছু বাছবিচার করার সুযোগ থাকে না। তবে বাঁধাকপি কেটেবেছে রান্নার প্রস্তুতির সময়ই এসব বিষয় মাথায় রাখলে রান্নার সময় আর ঝক্কি পোহাতে হয় না। এমনটাই জানালেন রাজধানীর গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লায়েড হিউম্যান সায়েন্সের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ফাতেমা আকতার।ধাপে ধাপে বাঁধাকপি কেটেবেছে নেওয়ার নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর প্রক্রিয়াটি জেনে নিন ফাতেমা আকতারের কাছ থেকেই।বাঁধাকপির বাইরের দিকের পাতার মতো অংশগুলো ফেলে দিন। কপির মূল অংশের কোনো পরত থেঁতলে গেলেও তা ফেলে দিন।বাঁধাকপিটি দুই টুকরা করে নিন, যাতে ভালোভাবে তা পরিষ্কার করতে পারেন। তবে ছোট আকারের বাঁধাকপি হলে কাটার প্রয়োজন নেই।কলের পানিতে টুকরাগুলো ধুয়ে নিন। ধোয়ার সময়ই আঙুলের সাহায্যে ঘষে নিন। যাতে এসবে কোনো ময়লা লেগে না থাকে। পরতের ভেতরের অংশও আলতোভাবে পরিষ্কার করুন, যতটা পারা যায়।ধোয়ার পরও বাঁধাকপিতে কিছু রাসায়নিক থেকে যেতে পারে। থাকতে পারে আঁশটে গন্ধ।
কোনো বাঁধাকপিতে থাকতে পারে ছত্রাক, যা আপনি খালি চোখে দেখতে পাবেন না। কলের পানিতে ধুয়ে নেওয়ার পর এসব সমস্যা সমাধানে নিচের যেকোনো একটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। তবে যে পদ্ধতিই বেছে নিন না কেন, খেয়াল রাখবেন, বেশি সময় পানিতে রেখে দিলে এর পুষ্টিগুণ হারিয়ে যাবে।একটা বাটিতে এমনভাবে পানি নিন, যাতে বাঁধাকপি ডুবিয়ে রাখা যায়। তাতে একটেবিল চামচ লবণ কিংবা বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। তাতে বাঁধাকপিটি ১০–১৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। বেকিং সোডা আঁশটে গন্ধ ও ছত্রাকের বিরুদ্ধে দারুণ কর্যকর।ভিনেগারের পানিতেও ১০ মিনিটের জন্য ডুবিয়ে রাখতে পারেন বাঁধাকপি। ভিনেগার–পানি তৈরি করতে আড়াই–তিন লিটার পানিতে এক কাপ ভিনেগার মেশাতে হবে। পানি কম হলে ওই অনুপাতে ভিনেগারের পরিমাণ কমিয়ে নিন। যতটা ভিনেগার নেবেন, তার তিন গুণ পানি নিতে হবে, অর্থাৎ এক কাপ ভিনেগার নিলে তিন কাপ পানি নিতে হবে।
বাঁধাকপিটি ফুটন্ত পানিতে এক–দুই মিনিটের জন্য রাখতে পারেন। এরপর অবশ্য সঙ্গে সঙ্গেই তা আবার কলের পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে।এসব পদ্ধতির যেকোনোটি প্রয়োগের পর বাঁধাকপিটি কলের পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। সর্বশেষে কাটার পালা। তবে কাটার আগে একটা ছিদ্রযুক্ত পাত্রে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। কাটার সময় টুকরাগুলো ভালোভাবে পরখ করুন। কোনো ছিদ্র বা পোকামাকড়ের অস্তিত্ব থাকলে সেই অংশ কেটে ফেলে দিন।
প্রকাশ : ১৩/১/২০২৫/সুরমা টিভি ২৪/ইয়াসমিন