, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ওবায়দুরের বাবা বাকরুদ্ধ,মা অজ্ঞান এবং স্ত্রীর কান্নায় ভারী আকাশ বাতাস। ১৯ সন্তানের মা হয়েও ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেছেন এক সৌদি নারী বিশেষ অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ দুই পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে দারুস সালাম থানা পুলিশ কোনো হঠকারিতা বা ভুল পদক্ষেপে সম্ভাবনা যেন বিনষ্ট না হয় : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ‘ ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষনাগার ‘ প্রদর্শন করলো ইরান ছবির প্রিমিয়ারে হার্ট অ্যাটাক, সংকটাপন্ন বলিউড অভিনেতা টিকু তালসানিয়া বাংলাদেশী পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে কলকাতা জাতীয় নাগরিক কমিটি বলেছে – স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করার মতো পরিস্থিতি আছে বিএসএফের গুলিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বাংলাদেশী তরুণ আহত সিইপিজেডে দুটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সংঘর্ষে আহত ১০

১৯ সন্তানের মা হয়েও ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেছেন এক সৌদি নারী

sumaya tasnim
  • Update Time : ১০ ঘন্টা আগে
  • / ৩ Time View

বিয়ে এবং সন্তান জন্মদানের পর অনেক নারী পড়ালেখা বাদ দিয়ে দেন। সন্তানের পরিচর্যার জন্য বিসর্জন দেন নিজের স্বপ্ন। তবে ১৯ সন্তানের মা হয়েও ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন সৌদি আরবের এক নারী।হামদা আল রুয়াইলি সৌদি এ নারী ১০ ছেলে ও ৯ মেয়ের মা হয়েও তিনি তার স্বপ্নের পথে এগিয়ে গেছেন। সন্তানদের পরিচর্যা, কর্মজীবন ও পড়াশোনা– সবকিছুই দক্ষতার সঙ্গে সামলেছেন।

মানসিক স্বাস্থ্য খাতের প্রশাসনিক পদে কাজের পাশাপাশি তিনি একটি অনলাইন ব্যবসাও পরিচালনা করেন। হামদা বলেন, দিনের বেলায় তিনি সন্তানদের যত্ন নেন; তার কাজও সামলান। রাতের বেলায় সময় দেন ব্যবসা এবং পড়াশোনায়। তিনি তার জীবনে কোনো ঝামেলা চান না, তাই প্রতিদিনের কাজের জন্য অত্যন্ত সাবধানি পরিকল্পনা করে থাকেন। ৪৩ বছর বয়স হওয়ার আগেই তিনি ব্যাচেলর, মাস্টার্স এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

তবে এ পথ সহজ ছিল না। তিনি বলেন, ১৯ সন্তানের দেখভাল করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু তিনি শিক্ষকদের এবং সামরিক কর্মকর্তাদের থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। হামদার মতে, তার রোল মডেল সেই শিক্ষক, যিনি শিক্ষার্থীতে ভরা একটি ক্লাস চালান এবং সেই সামরিক অফিসার, যিনি অসংখ্য সেনাকে নেতৃত্ব দেন। হামদা বলেন, একজন সন্তানকে বড় করার যে চ্যালেঞ্জ, তা ১০ জন সন্তানকে বড় করার মতোই কঠিন। আমি আমার সন্তানদের প্রয়োজন বুঝে কাজ করি, তাদের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করি এবং তারা যেন তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে, সেই অনুপ্রেরণা দিই।

হামদা সন্তানদের সুশিক্ষা দানে অত্যন্ত চৌকস। তার সন্তানরাও তাদের পড়াশোনায় মনোযোগী। তার এক মেয়ে কিং আব্দুল আজিজ সেন্টার থেকে শিক্ষাবৃত্তি পেয়েছে। এত দায়িত্ব থাকা সত্ত্বেও পড়াশোনার স্বপ্নকে কখনো বিসর্জন দেননি তিনি। জীবনের নানা চড়াই-উৎরাই আসলেও তিনি কখনোই শিক্ষার পথ থেকে সরে যাননি।

১১ জানুয়ারি,২০২৫; সুরমা টিভি ২৪; সুমাইয়া।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

১৯ সন্তানের মা হয়েও ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেছেন এক সৌদি নারী

Update Time : ১০ ঘন্টা আগে

বিয়ে এবং সন্তান জন্মদানের পর অনেক নারী পড়ালেখা বাদ দিয়ে দেন। সন্তানের পরিচর্যার জন্য বিসর্জন দেন নিজের স্বপ্ন। তবে ১৯ সন্তানের মা হয়েও ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন সৌদি আরবের এক নারী।হামদা আল রুয়াইলি সৌদি এ নারী ১০ ছেলে ও ৯ মেয়ের মা হয়েও তিনি তার স্বপ্নের পথে এগিয়ে গেছেন। সন্তানদের পরিচর্যা, কর্মজীবন ও পড়াশোনা– সবকিছুই দক্ষতার সঙ্গে সামলেছেন।

মানসিক স্বাস্থ্য খাতের প্রশাসনিক পদে কাজের পাশাপাশি তিনি একটি অনলাইন ব্যবসাও পরিচালনা করেন। হামদা বলেন, দিনের বেলায় তিনি সন্তানদের যত্ন নেন; তার কাজও সামলান। রাতের বেলায় সময় দেন ব্যবসা এবং পড়াশোনায়। তিনি তার জীবনে কোনো ঝামেলা চান না, তাই প্রতিদিনের কাজের জন্য অত্যন্ত সাবধানি পরিকল্পনা করে থাকেন। ৪৩ বছর বয়স হওয়ার আগেই তিনি ব্যাচেলর, মাস্টার্স এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

তবে এ পথ সহজ ছিল না। তিনি বলেন, ১৯ সন্তানের দেখভাল করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু তিনি শিক্ষকদের এবং সামরিক কর্মকর্তাদের থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। হামদার মতে, তার রোল মডেল সেই শিক্ষক, যিনি শিক্ষার্থীতে ভরা একটি ক্লাস চালান এবং সেই সামরিক অফিসার, যিনি অসংখ্য সেনাকে নেতৃত্ব দেন। হামদা বলেন, একজন সন্তানকে বড় করার যে চ্যালেঞ্জ, তা ১০ জন সন্তানকে বড় করার মতোই কঠিন। আমি আমার সন্তানদের প্রয়োজন বুঝে কাজ করি, তাদের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করি এবং তারা যেন তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে, সেই অনুপ্রেরণা দিই।

হামদা সন্তানদের সুশিক্ষা দানে অত্যন্ত চৌকস। তার সন্তানরাও তাদের পড়াশোনায় মনোযোগী। তার এক মেয়ে কিং আব্দুল আজিজ সেন্টার থেকে শিক্ষাবৃত্তি পেয়েছে। এত দায়িত্ব থাকা সত্ত্বেও পড়াশোনার স্বপ্নকে কখনো বিসর্জন দেননি তিনি। জীবনের নানা চড়াই-উৎরাই আসলেও তিনি কখনোই শিক্ষার পথ থেকে সরে যাননি।

১১ জানুয়ারি,২০২৫; সুরমা টিভি ২৪; সুমাইয়া।