, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লস এঞ্জেলসের দাবানলে পুড়ে ছাই লটারীতে দুই বিলিয়ন ডলারজয়ী ব্যক্তির বিলাসবহুল প্রাসাদ এবার ধরা পড়ল একজনের শরীরে এইচএমপিভি! ওবায়দুরের বাবা বাকরুদ্ধ,মা অজ্ঞান এবং স্ত্রীর কান্নায় ভারী আকাশ বাতাস। ১৯ সন্তানের মা হয়েও ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেছেন এক সৌদি নারী বিশেষ অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ দুই পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে দারুস সালাম থানা পুলিশ কোনো হঠকারিতা বা ভুল পদক্ষেপে সম্ভাবনা যেন বিনষ্ট না হয় : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ‘ ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষনাগার ‘ প্রদর্শন করলো ইরান ছবির প্রিমিয়ারে হার্ট অ্যাটাক, সংকটাপন্ন বলিউড অভিনেতা টিকু তালসানিয়া বাংলাদেশী পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে কলকাতা জাতীয় নাগরিক কমিটি বলেছে – স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করার মতো পরিস্থিতি আছে

ইরান পাচ্ছে এক নতুন রাজধানী

saamima nasrin
  • Update Time : ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৭ Time View

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: তেহরানে বাড়ছে পানি-বিদ্যুতের সংকট। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইরানের সিদ্ধান্ত এবার রাজধানী স্থানান্তরের। নতুন রাজধানী হবে মাক্রান অঞ্চলে । এতে কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সুফল পাবে ইরান। গত বুধবার এসব কথা বলেন ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি।এরইমধ্যে সরকারের এই সিদ্ধান্ত সমালোচিত হয়েছে। একে অবাস্তব বলছেন সমালোচকরা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম তেহরান টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে পরিবেশগত চাপ, জনসংখ্যা, পানি ও বিদ্যুৎ সংকট প্রদেশটির নিত্যদিনের সঙ্গী। তাই রাজধানী স্থানান্তরের প্রকল্প গ্রহণ করেছে ইরান সরকার। দেশটির নতুন রাজধানী হবে উপকূলীয় মাক্রান অঞ্চলে। সমুদ্র বন্দরভিত্তিক রাজধানী হলে, ইরান পাবে কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সুফল। রাজধানী স্থানান্তরের ঘোষণা দিয়ে ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি বলেন, ‘মাক্রানে অবশ্যই আমাদের নতুন রাজধানী হবে। এতে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ ঘটবে। ইতিমধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ, অভিজাত, বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশলী, সমাজবিজ্ঞানী ও অর্থনীতিবিদদের সহযোগিতা চেয়েছি।’এ সিদ্ধান্তের পক্ষে প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের যুক্তি, ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ তেহরান। আয়-ব্যয়েও নেই ভারসাম্য। পারস্য উপসাগরের কাছে রাজধানী স্থানান্তরের বিষয়ে এরইমধ্যে শুরু করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। প্রায় ৩ দশক আগে শুরু হয় রাজধানী স্থানান্তরের আলোচনা। পরিবেশগত ঝুঁকির কারণে ২০১০ সালেও এ বিষয়ে আলোচনা উঠেছিল বলে জানান সরকারের এই মুখপাত্র।ইরান সরকারের মুখাপাত্র বলেন, ‘আমাদের রাজধানী স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নতুন নয়। তিন দশক ধরে এই আলোচনা চলছে। তেহরান প্রদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেড়েছে। প্রদেশটি প্রায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। এখানে পানিরও তীব্র সংকট। এসব কারণেই আমরা রাজধানী স্থানান্তরের প্রকল্প গ্রহণ করেছি।’এদিকে, সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় বইছে ইরানে। অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে বিপুল পরিমাণ। শত বছরেও শেষ হবে না রাজধানী স্থানান্তরে কাজ। ইরান সরকারের সিদ্ধান্ত অবাস্তব বলেও মত সমালোচকদের।

১০/১/২০২৫/ সুরমা টিভি/শামীমা

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

ইরান পাচ্ছে এক নতুন রাজধানী

Update Time : ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: তেহরানে বাড়ছে পানি-বিদ্যুতের সংকট। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইরানের সিদ্ধান্ত এবার রাজধানী স্থানান্তরের। নতুন রাজধানী হবে মাক্রান অঞ্চলে । এতে কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সুফল পাবে ইরান। গত বুধবার এসব কথা বলেন ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি।এরইমধ্যে সরকারের এই সিদ্ধান্ত সমালোচিত হয়েছে। একে অবাস্তব বলছেন সমালোচকরা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম তেহরান টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে পরিবেশগত চাপ, জনসংখ্যা, পানি ও বিদ্যুৎ সংকট প্রদেশটির নিত্যদিনের সঙ্গী। তাই রাজধানী স্থানান্তরের প্রকল্প গ্রহণ করেছে ইরান সরকার। দেশটির নতুন রাজধানী হবে উপকূলীয় মাক্রান অঞ্চলে। সমুদ্র বন্দরভিত্তিক রাজধানী হলে, ইরান পাবে কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সুফল। রাজধানী স্থানান্তরের ঘোষণা দিয়ে ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি বলেন, ‘মাক্রানে অবশ্যই আমাদের নতুন রাজধানী হবে। এতে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ ঘটবে। ইতিমধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ, অভিজাত, বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশলী, সমাজবিজ্ঞানী ও অর্থনীতিবিদদের সহযোগিতা চেয়েছি।’এ সিদ্ধান্তের পক্ষে প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের যুক্তি, ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ তেহরান। আয়-ব্যয়েও নেই ভারসাম্য। পারস্য উপসাগরের কাছে রাজধানী স্থানান্তরের বিষয়ে এরইমধ্যে শুরু করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। প্রায় ৩ দশক আগে শুরু হয় রাজধানী স্থানান্তরের আলোচনা। পরিবেশগত ঝুঁকির কারণে ২০১০ সালেও এ বিষয়ে আলোচনা উঠেছিল বলে জানান সরকারের এই মুখপাত্র।ইরান সরকারের মুখাপাত্র বলেন, ‘আমাদের রাজধানী স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নতুন নয়। তিন দশক ধরে এই আলোচনা চলছে। তেহরান প্রদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেড়েছে। প্রদেশটি প্রায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। এখানে পানিরও তীব্র সংকট। এসব কারণেই আমরা রাজধানী স্থানান্তরের প্রকল্প গ্রহণ করেছি।’এদিকে, সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় বইছে ইরানে। অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে বিপুল পরিমাণ। শত বছরেও শেষ হবে না রাজধানী স্থানান্তরে কাজ। ইরান সরকারের সিদ্ধান্ত অবাস্তব বলেও মত সমালোচকদের।

১০/১/২০২৫/ সুরমা টিভি/শামীমা