সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:
ফাইনালে ব্যাট হাতে শুরুটা দারুণ করেছিল মোহামেডান। রনি তালুকদার এবং তৌফিক খান তুষারের দুর্দান্ত টাইমিং জানান দিচ্ছিল, টিপিক্যাল মিরপুরের উইকেট নয় এটি। তবে শুরুর সেই ধারা বজায় রাখতে পারেননি মোহামেডানের টপ এবং মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। ৫০ থেকে ১২৪ রানের মধ্যে প্রথম ৪ উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে যায় দলটি।
আবাহনীর বিপক্ষে অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
আবাহনীর বিপক্ষে অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
চাপ থেকে মোহামেডানকে উদ্ধার করেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং আরিফুল ইসলাম। এই দুই ব্যাটারের ফিফটিতে আবাহনীকে ২৪১ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিয়েছে মোহামেডান।
শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে আজ (২৯ এপ্রিল) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ হয় মোহামেডানের। দুই ওপেনার রনি তালুকদার এবং তৌফিক খানের ব্যাটে ৮ ওভারেই ৫০ রান করে দলটি।
নবম ওভারের প্রথম বলে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরির শিকার হয়ে ফেরেন তৌফিক। ১৮ বলে ১৬ রান করেন তিনি। সেট ব্যাটার রনি তালুকদারকে ফেরান রিপন মন্ডল। ১২তম ওভারের পঞ্চম বলে রিপনের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়েন রনি। ৪৭ বলে ৪৫ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংসে ৯ টি চার মেরেছেন রনি।
তিনে নেমে আনিসুল ইসলাম হাল ধরতে পারেননি। ৪২ বলে ১৫ রান করে মাহফুজুর রাব্বির বলে স্ট্যাম্পিং হন তিনি। সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি ফরহাদ হোসেন। ৫৬ বলে ৪২ রান করে এসএম মেহেরবের বলে আউট হন এই ব্যাটার।
পঞ্চম উইকেটে বড় জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং আরিফুল ইসলাম। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো আটকে দিয়ে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেছেন দুজনেই। শুরুতে ধীরগতিতে ব্যাট করে ইনিংস মেরামত করেন, সেট হওয়ার পর বাড়ান রানের গতি। টিপিক্যাল ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করেছেন তারা।
৯০ রানের জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ এবং আরিফুল। দুজনেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। শেষ ৫ ওভারে যখন ঝোড়ো ইনিংস খেলার প্রয়োজন ছিল, তখন কেউই সেই প্রয়োজন মেটাতে পারেননি।
ফিফটি পূর্ণ করে ৪৬তম ওভারের শেষ বলে আউট হন রিয়াদ। মেহরবের বলে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৬২ বলে ৫০ রান করেন তিনি। আরিফুল ইসলামও আউট হয়েছেন ঠিক ৫০ রানে। তার ৩ ছক্কা ও ২ চারের ইনিংস থামান মোসাদ্দেক হোসেন। নির্ধারিত ওভার শেষে মোহামেডান থেমে ৭ উইকেটে ২৪০ রান করে।