অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
দেশের ১৩তম সিটি করপোরেশন হচ্ছে বগুড়া
বগুড়া পৌরসভাকে দেশের ১৩তম সিটি করপোরেশন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিটি করপোরেশন-২ শাখার নির্দেশনা মোতাবেক পৌর এলাকার মৌজাগুলোর অন্তর্ভুক্ত এলাকা নিয়ে বগুড়া সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা রবিবার এ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
বগুড়া জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ১৮৭৬ সালে বগুড়া পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮১ সালে এই পৌরসভা প্রথম শ্রেণির মর্যাদা পায়। ২০০০ সালে এর আয়তন ছিল ১৪ দশমিক ৭৬ বর্গ কিলোমিটার। ২০০৪ সালে বর্ধিত করে ৬৯ দশমিক ৫৬ বর্গকিলোমিটার করা হয়। ২১টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভায় জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। বগুড়াবাসী উন্নয়নের স্বার্থে দীর্ঘদিন ধরে বগুড়া পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে রূপান্তরের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা গত ফেব্রুয়ারিতে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন। সরকারের নীতিনির্ধারকরা এ বিষয়ে সম্মতি দিলে বগুড়া সিটি করপোরেশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
সূত্রটি আরও জানায়, সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা বিধিমালা ২০১০-এর বিধি অনুযায়ী গণবিজ্ঞপ্তি জারি, এলাকাবাসীর মতামত, আপত্তি নিষ্পত্তিমূলক চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গত ১০ এপ্রিল স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগ সিটি করপোরেশন-২ শাখা থেকে বগুড়া জেলা প্রশাসককে পত্র পাঠানো হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. ফিরোজ মাহমুদ স্বাক্ষরিত চিঠির অনুলিপি পৌরসভার প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছেন, স্থানীয় সরকার সরকার বিভাগ, সিটি করপোরেশন-২ শাখার ১০ এপ্রিলের ৪৬.০০.০০০০.০৭১.১৮.১১৪.২০২৫.১৬৬ স্মারকের নির্দেশনা মোতাবেক স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) প্রতিষ্ঠা বিধিমালা ২০১০-এর বিধি-৫-এর উপবিধি (২) অনুসারে বিদ্যমান বগুড়া পৌর এলাকার নিম্নবর্ণিত মৌজাগুলোর অন্তর্ভুক্ত এলাকা নিয়ে বগুড়া সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে এই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হলো। এ বিষয়ে কারও কোনও মতামত বা আপত্তি থাকলে তা একই বিধিমালার ৫-এর উপবিধি (৪) মোতাবেক গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর (জেলা প্রশাসক) কাছে দাখিলের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। ওই সময়ের পর কোনও মতামত বা আপত্তি গ্রহণ করা হবে না।
বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা বলেন, ‘কোনও আপত্তি থাকলে তা ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হবে। এরপর স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রতিবেদন আকারে পাঠানো হবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর স্থানীয় সরকার বিভাগ যাচাই-বাছাই ও আইনগত দিক বিবেচনা করে বগুড়া সিটি করপোরেশন অধ্যাদেশ জারি করবে।’
২৭/৪/২০২৫/সুরমা টিভি/শামীমা