, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বনশ্রীতে রাজউকের অভিযান

  • SURMA TV 24
  • Update Time : এক ঘন্টা আগে
  • ১৩৭১ Time View


অনলাইন নিউজ ডেস্ক:

বনশ্রীতে অনুমোদিত ভবনের নকশার অতিরিক্ত অংশ এক্সেভেটর (ভেকু) দিয়ে ভেঙ্গে ফেলেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় দক্ষিণ বনশ্রী এলাকার কে ব্লকের ১৮ নম্বর রোডে দুইটি নির্মাণাধীন ভবন ভাঙা হয়। রাজউকের এই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকার।

অভিযান সম্পর্কে রাজউক সূত্রে জানা যায়, বনশ্রীর এন ব্লকের নিউ রসূলবাগের আর এস দাগ নং-৭৮১ জায়গায় একটি বেজমেন্টেসহ ১০ তলা ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে বেজমেন্ট ছাড়া ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডিপিডিসিকে তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করার নির্দেশ দেন ও বৈদ্যুতিক মিটার জব্দ করেন।

এছাড়াও দক্ষিণ বনশ্রীর কে ব্লকের ১৮ নম্বর রোডে ২১৪ নম্বর প্লটেও অভিযান চালানো হয়। সেখানে একটি ভবনের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ চলছিল। কিন্তু সেখানে নির্মাণকাজে থাকা ব্যক্তিরা তাৎক্ষণিক রাজউক অনুমোদিত প্ল্যান দেখাতে পারেনি। ফলে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডকে (ডিপিডিসি) তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মিটার জব্দের নির্দেশ দেন। এরপর ১৯ নম্বর রোডের ১৭২ নম্বর প্লটেও একই অবস্থা দেখে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মিটার জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়।

অন্যদিকে ১৮ নম্বর রোডের ২০২ নম্বর প্লটের নির্মাণাধীন ভবন মেপে দেখা যায় ভবনের সামনে পাঁচ মিটার খালি জায়গা রাখার কথা ছিল। কিন্তু সেটি রাখা হয়নি। এ বিষয়ে যোগাযোগের জন্য মালিকের সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। ফলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতিরিক্ত অংশ ভাঙার নির্দেশ দেন। পরে রাজউকের এক্সেভেটর দিয়ে সেটি ভাঙা হয়।

দুপুর ১২টায় যাওয়া হয় একই সড়কের ১৯১ নম্বর প্লটে। ছোট ভবনটি সামনে ও পাশে নির্ধারিত জায়গা রাখার কথা থাকলেও সেটি রাখা হয়নি। পরে সেই অতিরিক্ত অংশ ভাঙার নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

অভিযানের বিষয়ে রাজউকের উপ-পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকার বলেন, এখানে রাজউকের অভিযান চলছে। ডিজাইন প্ল্যানের বাইরে অতিরিক্ত অংশ আমরা ভেঙে দিচ্ছি। ডিপিডিসির মাধ্যমে অভিযুক্ত প্রত্যেকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মিটার জব্দ করা হয়েছে। অভিযুক্তরা তাদের সংশোধন করে রাজউকের অনুমতি নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ লাগাতে পারবেন।

প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজউকের এই অভিযান চলছে ও চলবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকার।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন রাজউকের অথরাইজড অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী অথরাইজড অফিসার মোহাম্মদ সাব্বিরুল ইসলাম, ইমারত পরিদর্শক সুমন আহম্মেদ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা।

২০/৪/২০২৫/ সুরমা টিভি/শামীমা

বনশ্রীতে রাজউকের অভিযান

Update Time : এক ঘন্টা আগে


অনলাইন নিউজ ডেস্ক:

বনশ্রীতে অনুমোদিত ভবনের নকশার অতিরিক্ত অংশ এক্সেভেটর (ভেকু) দিয়ে ভেঙ্গে ফেলেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় দক্ষিণ বনশ্রী এলাকার কে ব্লকের ১৮ নম্বর রোডে দুইটি নির্মাণাধীন ভবন ভাঙা হয়। রাজউকের এই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকার।

অভিযান সম্পর্কে রাজউক সূত্রে জানা যায়, বনশ্রীর এন ব্লকের নিউ রসূলবাগের আর এস দাগ নং-৭৮১ জায়গায় একটি বেজমেন্টেসহ ১০ তলা ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে বেজমেন্ট ছাড়া ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডিপিডিসিকে তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করার নির্দেশ দেন ও বৈদ্যুতিক মিটার জব্দ করেন।

এছাড়াও দক্ষিণ বনশ্রীর কে ব্লকের ১৮ নম্বর রোডে ২১৪ নম্বর প্লটেও অভিযান চালানো হয়। সেখানে একটি ভবনের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ চলছিল। কিন্তু সেখানে নির্মাণকাজে থাকা ব্যক্তিরা তাৎক্ষণিক রাজউক অনুমোদিত প্ল্যান দেখাতে পারেনি। ফলে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডকে (ডিপিডিসি) তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মিটার জব্দের নির্দেশ দেন। এরপর ১৯ নম্বর রোডের ১৭২ নম্বর প্লটেও একই অবস্থা দেখে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মিটার জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়।

অন্যদিকে ১৮ নম্বর রোডের ২০২ নম্বর প্লটের নির্মাণাধীন ভবন মেপে দেখা যায় ভবনের সামনে পাঁচ মিটার খালি জায়গা রাখার কথা ছিল। কিন্তু সেটি রাখা হয়নি। এ বিষয়ে যোগাযোগের জন্য মালিকের সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। ফলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতিরিক্ত অংশ ভাঙার নির্দেশ দেন। পরে রাজউকের এক্সেভেটর দিয়ে সেটি ভাঙা হয়।

দুপুর ১২টায় যাওয়া হয় একই সড়কের ১৯১ নম্বর প্লটে। ছোট ভবনটি সামনে ও পাশে নির্ধারিত জায়গা রাখার কথা থাকলেও সেটি রাখা হয়নি। পরে সেই অতিরিক্ত অংশ ভাঙার নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

অভিযানের বিষয়ে রাজউকের উপ-পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকার বলেন, এখানে রাজউকের অভিযান চলছে। ডিজাইন প্ল্যানের বাইরে অতিরিক্ত অংশ আমরা ভেঙে দিচ্ছি। ডিপিডিসির মাধ্যমে অভিযুক্ত প্রত্যেকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মিটার জব্দ করা হয়েছে। অভিযুক্তরা তাদের সংশোধন করে রাজউকের অনুমতি নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ লাগাতে পারবেন।

প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজউকের এই অভিযান চলছে ও চলবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকার।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন রাজউকের অথরাইজড অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী অথরাইজড অফিসার মোহাম্মদ সাব্বিরুল ইসলাম, ইমারত পরিদর্শক সুমন আহম্মেদ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা।

২০/৪/২০২৫/ সুরমা টিভি/শামীমা