, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে ৩ ঘণ্টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টি

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ০১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৩৭৮ Time View


অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
সকালে ছিল ঝলমলে আকাশ। গরমও কম ছিল না। তবে দুপুরের পর থেকেই রাজধানীর আকাশে মেঘ জমতে শুরু করে। আজ বুধবার বেলা তিনটা থেকেই শুরু হয় বৃষ্টি। যখন এ প্রতিবেদন লেখা হচ্ছে সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে, বৃষ্টি তখনো ঝরছে। এ বৃষ্টিতে রাজধানীর নানা স্থানে জমে গেছে পানি। তাতে বিশেষ করে অফিসফেরত মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ৩ ঘণ্টায় রাজধানীতে ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ হিসাব বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। বৃষ্টি এরপরও হয়েছে, হচ্ছে। আর শুধু রাজধানীতে নয়, বৃষ্টি হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

আজ যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে, তার পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। আজ রাজধানীতে যতটা বৃষ্টি হয়েছে, তা ছিল এ মাসে রাজধানীতে সর্বোচ্চ বৃষ্টি, এমনটাই বললেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আজ শুধু রাজধানীতে নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর হিসাব দ্রুত পাওয়া গেলেও বাইরের বৃষ্টি কতটা হয়েছে, তা জানতে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।

তাপপ্রবাহের পর রাজধানীতে বৃষ্টি কাঙ্ক্ষিত ছিল। এতে কিছুটা সময় হলেও কমবে তাপ। তাতে এ বৃষ্টিতে নগরবাসীদের অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তবে বিকেলের দিকে বৃষ্টি হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন অফিসফেরত মানুষেরা। কারণ, অনেকেই তো ছাতা নিয়ে বাইরে বের হননি।

করিম সাহেব গিয়েছিলেন অফিসের কাজে। কাজ শেষে ঘণ্টাখানেক অপেক্ষায় ছিলেন, বৃষ্টি কখন ছাড়বে সেই আশায়। একপর্যায়ে বৃষ্টি থামার আশা ছেড়ে দিয়ে ভিজে, কিছুটা সময় রিকশায় করে পৌঁছান বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের পেছনে। সেখানে এসে নতুন বিপত্তি, সড়কে পানি জমে গেছে। সেই পানি পার হয়ে বাসায় পৌঁছাতে পরনের পরিধেয় ভিজে একাকার।

পুরান ঢাকার কোর্ট-কাচারি এলাকা থেকে ফার্মগেট এলাকায় আসতে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে আসাদ রহমানের। তিনি নিজের মোটরসাইকেলে চড়ে এসেছেন। অন্যান্য দিন এক ঘণ্টার মধ্যেই সাধারণত চলে আসেন। আজ পথে ব্যাপক যানজট। এটা বৃষ্টির জন্যই হয়েছে।

আসাদ রহমান বলেন, ‘রাস্তায় দীর্ঘ সময় গাড়ি আটকে থাকতে দেখেছি। বাইক ছিল বলে রক্ষা। নয়তো কখন যে বাড়ি ফিরতাম, তা বলতে পারি না।’

এই চৈত্র-বৈশাখের সময় বৃষ্টির ধরনই এমন। প্রচণ্ড গরম, হঠাৎ মেঘ এবং প্রবল বৃষ্টি। তাতে কিছুটা ঠান্ডা হয় চারপাশ। আবার গরম পড়ে।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবারও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। তবে বিষয়টি এমন নয় যে দেশের সর্বত্রই বৃষ্টি হবে। এভাবেই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে।

১৬/৪/২০২৫/সুরমা টিভি/ শামীমা

রাজধানীতে ৩ ঘণ্টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টি

Update Time : ০১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫


অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
সকালে ছিল ঝলমলে আকাশ। গরমও কম ছিল না। তবে দুপুরের পর থেকেই রাজধানীর আকাশে মেঘ জমতে শুরু করে। আজ বুধবার বেলা তিনটা থেকেই শুরু হয় বৃষ্টি। যখন এ প্রতিবেদন লেখা হচ্ছে সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে, বৃষ্টি তখনো ঝরছে। এ বৃষ্টিতে রাজধানীর নানা স্থানে জমে গেছে পানি। তাতে বিশেষ করে অফিসফেরত মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ৩ ঘণ্টায় রাজধানীতে ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ হিসাব বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। বৃষ্টি এরপরও হয়েছে, হচ্ছে। আর শুধু রাজধানীতে নয়, বৃষ্টি হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

আজ যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে, তার পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। আজ রাজধানীতে যতটা বৃষ্টি হয়েছে, তা ছিল এ মাসে রাজধানীতে সর্বোচ্চ বৃষ্টি, এমনটাই বললেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আজ শুধু রাজধানীতে নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর হিসাব দ্রুত পাওয়া গেলেও বাইরের বৃষ্টি কতটা হয়েছে, তা জানতে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।

তাপপ্রবাহের পর রাজধানীতে বৃষ্টি কাঙ্ক্ষিত ছিল। এতে কিছুটা সময় হলেও কমবে তাপ। তাতে এ বৃষ্টিতে নগরবাসীদের অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তবে বিকেলের দিকে বৃষ্টি হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন অফিসফেরত মানুষেরা। কারণ, অনেকেই তো ছাতা নিয়ে বাইরে বের হননি।

করিম সাহেব গিয়েছিলেন অফিসের কাজে। কাজ শেষে ঘণ্টাখানেক অপেক্ষায় ছিলেন, বৃষ্টি কখন ছাড়বে সেই আশায়। একপর্যায়ে বৃষ্টি থামার আশা ছেড়ে দিয়ে ভিজে, কিছুটা সময় রিকশায় করে পৌঁছান বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের পেছনে। সেখানে এসে নতুন বিপত্তি, সড়কে পানি জমে গেছে। সেই পানি পার হয়ে বাসায় পৌঁছাতে পরনের পরিধেয় ভিজে একাকার।

পুরান ঢাকার কোর্ট-কাচারি এলাকা থেকে ফার্মগেট এলাকায় আসতে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে আসাদ রহমানের। তিনি নিজের মোটরসাইকেলে চড়ে এসেছেন। অন্যান্য দিন এক ঘণ্টার মধ্যেই সাধারণত চলে আসেন। আজ পথে ব্যাপক যানজট। এটা বৃষ্টির জন্যই হয়েছে।

আসাদ রহমান বলেন, ‘রাস্তায় দীর্ঘ সময় গাড়ি আটকে থাকতে দেখেছি। বাইক ছিল বলে রক্ষা। নয়তো কখন যে বাড়ি ফিরতাম, তা বলতে পারি না।’

এই চৈত্র-বৈশাখের সময় বৃষ্টির ধরনই এমন। প্রচণ্ড গরম, হঠাৎ মেঘ এবং প্রবল বৃষ্টি। তাতে কিছুটা ঠান্ডা হয় চারপাশ। আবার গরম পড়ে।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবারও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। তবে বিষয়টি এমন নয় যে দেশের সর্বত্রই বৃষ্টি হবে। এভাবেই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে।

১৬/৪/২০২৫/সুরমা টিভি/ শামীমা