, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাঙালি সংস্কৃতির উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা পর্যটকরা, সৈকতের নোনা জলে বর্ষবরণ।

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ০২:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৩৭৬ Time View

সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:


পহেলা বৈশাখের উৎসবে মেতেছে সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজার। ভ্রমণপিপাসুরা যেমন নোনাজলে মাতোয়ারা ঠিক তেমনি নেচে-গেয়ে ও গ্রামীণ বাংলার নানান আয়োজনে এই উৎসব পালন করেছেন তারা।
ধর্ম-বর্ণ ও দলমত নির্বিশেষে সৈকতে বাংলা বর্ষবরণে হাজারো মানুষ।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৮টায় সৈকতের সীগাল পয়েন্ট থেকে শুরু হয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। যা গিয়ে শেষ হয় লাবনী পয়েন্টে ।

এরপর সৈকত লাবনী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে শুরু হয় নাচ-গান। যা চলে দুই ঘণ্টাব্যাপী। পরে বক্তব্যে রাখেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও পুলিশ সুপার সাইফউদ্দিন শাহীন।

এদিকে সকাল ১০ টার পর মানুষে কানায় কানায় পূর্ণ সাগরতীর। সব বয়সী মানুষ মিলিত হয় নোনাজলে। চলে লাফালাফি ও ছবি তোলার উৎসব।

পহেলা বৈশখা, তাই সৈকতপাড়ের হোটেলগুলোও সেজেছে নতুন সাজে। যেখানে নানা রঙে-ঢঙে সেজে যোগ দেয় পর্যটকরাও।

সৈকতে চলছে পহেলা বৈশাখের মেলা, বসেছে বাঙালিয়ানার স্টল। তুলে ধরা হয়েছে দেশীয় সংস্কৃতি। পর্যটকরা মেতেছেন রিং খেলাসহ নানা আয়োজন।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক লোকমান করিম বলেন ‘বাংলা নববর্ষের টানা ছুটিতে পরিবার নিয়ে কক্সবাজার এলাম। অনেক জায়গায় ঘুরে বেড়ালাম। এখন সমুদ্রস্নান শেষে কিটকট ছাতায় বসে আরাম করছি। কারণ তীব্র গরম অনূভুত হচ্ছে।

রংপুর থেকে আসা পর্যটক হাসান ইব্রাহীম বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে কক্সবাজারে খুবই আনন্দ লাগছে। ধর্ম-বর্ণ ও দলমত নির্বিশেষে এই দিনে সৈকতে হাজার হাজার মানুষের সমাগম দেখে সত্যিই অনেক ভাল লাগছে।

হোটেল মালিকরা বলছেন, দেশীয় সংস্কৃতির প্রচার এবং ভ্রমণপিপাসুদের আনন্দ দিতে ভিন্নধর্মী আয়োজন করেছেন তারা।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার সাইফউদ্দিন শাহীন বলেন, ‘নানা প্রান্ত থেকে আসা বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ কাজ করছে। পর্যটকদের রাতদিন নিরবচ্ছিন্ন সেবা ও নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে।

কক্সবাজার শহরের বাইরেও পর্যটকরা কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটোয়ারটেক, শামলাপুর ও টেকনাফ সৈকতে ছুটে বেড়াচ্ছেন। ওইদিকে সৈকত ছাড়াও আছে পাহাড়-ঝর্ণা, প্রাকৃতিক গুহাসহ নানা দর্শনীয় স্থান। এ ছাড়া সাগরদ্বীপ মহেশখালী ও সোনাদিয়া, রামু বৌদ্ধ বিহার, চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কেও পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে।

বাঙালি সংস্কৃতির উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা পর্যটকরা, সৈকতের নোনা জলে বর্ষবরণ।

Update Time : ০২:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:


পহেলা বৈশাখের উৎসবে মেতেছে সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজার। ভ্রমণপিপাসুরা যেমন নোনাজলে মাতোয়ারা ঠিক তেমনি নেচে-গেয়ে ও গ্রামীণ বাংলার নানান আয়োজনে এই উৎসব পালন করেছেন তারা।
ধর্ম-বর্ণ ও দলমত নির্বিশেষে সৈকতে বাংলা বর্ষবরণে হাজারো মানুষ।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৮টায় সৈকতের সীগাল পয়েন্ট থেকে শুরু হয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। যা গিয়ে শেষ হয় লাবনী পয়েন্টে ।

এরপর সৈকত লাবনী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে শুরু হয় নাচ-গান। যা চলে দুই ঘণ্টাব্যাপী। পরে বক্তব্যে রাখেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও পুলিশ সুপার সাইফউদ্দিন শাহীন।

এদিকে সকাল ১০ টার পর মানুষে কানায় কানায় পূর্ণ সাগরতীর। সব বয়সী মানুষ মিলিত হয় নোনাজলে। চলে লাফালাফি ও ছবি তোলার উৎসব।

পহেলা বৈশখা, তাই সৈকতপাড়ের হোটেলগুলোও সেজেছে নতুন সাজে। যেখানে নানা রঙে-ঢঙে সেজে যোগ দেয় পর্যটকরাও।

সৈকতে চলছে পহেলা বৈশাখের মেলা, বসেছে বাঙালিয়ানার স্টল। তুলে ধরা হয়েছে দেশীয় সংস্কৃতি। পর্যটকরা মেতেছেন রিং খেলাসহ নানা আয়োজন।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক লোকমান করিম বলেন ‘বাংলা নববর্ষের টানা ছুটিতে পরিবার নিয়ে কক্সবাজার এলাম। অনেক জায়গায় ঘুরে বেড়ালাম। এখন সমুদ্রস্নান শেষে কিটকট ছাতায় বসে আরাম করছি। কারণ তীব্র গরম অনূভুত হচ্ছে।

রংপুর থেকে আসা পর্যটক হাসান ইব্রাহীম বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে কক্সবাজারে খুবই আনন্দ লাগছে। ধর্ম-বর্ণ ও দলমত নির্বিশেষে এই দিনে সৈকতে হাজার হাজার মানুষের সমাগম দেখে সত্যিই অনেক ভাল লাগছে।

হোটেল মালিকরা বলছেন, দেশীয় সংস্কৃতির প্রচার এবং ভ্রমণপিপাসুদের আনন্দ দিতে ভিন্নধর্মী আয়োজন করেছেন তারা।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার সাইফউদ্দিন শাহীন বলেন, ‘নানা প্রান্ত থেকে আসা বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ কাজ করছে। পর্যটকদের রাতদিন নিরবচ্ছিন্ন সেবা ও নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে।

কক্সবাজার শহরের বাইরেও পর্যটকরা কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটোয়ারটেক, শামলাপুর ও টেকনাফ সৈকতে ছুটে বেড়াচ্ছেন। ওইদিকে সৈকত ছাড়াও আছে পাহাড়-ঝর্ণা, প্রাকৃতিক গুহাসহ নানা দর্শনীয় স্থান। এ ছাড়া সাগরদ্বীপ মহেশখালী ও সোনাদিয়া, রামু বৌদ্ধ বিহার, চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কেও পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে।