, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৎস্য উপদেষ্টা : আমরা সংস্কৃতির কথা বলছি, আবার বার্গার-স্যান্ডউইচও খাচ্ছি!

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ০৫:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৩৮১ Time View

সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:

কীভাবে সংস্কৃতি ধরে রাখতে হয়, সেটা পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিগোষ্ঠীরা দেখিয়েছেন মন্তব্য করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, কিন্তু আমরা সংস্কৃতির কথা বললেও বার্গার, স্যান্ডউইচ ছাড়া খাচ্ছি না। এভাবে আমরা নিজেদের খাদ্য ব্যবস্থা নষ্ট করে ফেলেছি।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরে শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহারে বিঝু, বৈসু, সাংগ্রাই, চাংক্রান,বিষু মেলা-২০২৫ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের অধিকার সমান। এখানে কোনো মানুষের অধিকার আলাদা হতে পারে না। এ কথা বলার জন্য পরিবেশ পেয়েছি। কারণ এ প্রজন্ম আমাদের শিখিয়েছে, কীভাবে অধিকার আদায় করতে হয়।

ফরিদা আখতার বলেন,
এ মেলায় পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিগোষ্ঠীরা দেখিয়েছেন কীভাবে সংস্কৃতি ধরে রাখতে হয়। কিন্তু আমরা একদিকে সংস্কৃতির কথা বলছি অন্যদিকে বার্গার, স্যান্ডুইচ ছাড়া খাচ্ছি না। এর ফলে আমরা নিজেদের খাদ্য ব্যবস্থা নষ্ট করে ফেলেছি। আর আপনারা নিজেদের খাদ্য রক্ষা করে চলছেন।

এ উপদেষ্টা বলেন,এত গুণ, প্রতিভা, ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও জাতি হিসেবে আপনারা কেন পিছিয়ে থাকবেন! যদিও পিছিয়ে থাকার জন্য বৈষম্যভিত্তিক সমাজ, রাষ্ট্র ও চিন্তাভাবনাই দায়ী। কিন্তু সবাই এ দেশের মানুষ। এখানে সমান অধিকার নিয়ে সবাই বেঁচে থাকতে চায়। তাই কোনো প্রকার বৈষম্য হতে পারে না।

পাহাড়ে জুম নিয়ন্ত্রণ বোর্ড করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,আমরা মনে করি জুম নিয়ন্ত্রণ নয় বরং জুম উন্নয়ন বোর্ড কীভাবে করা যায় তা নিয়ে কাজ করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে লাইভলিহুড কনসেপ্ট বাস্তবায়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন। রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদ থেকে বছরে ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা আয় হয়। এ আয়ের সিংহভাগ সরকারের রাজস্বে যোগ হয় না। কিন্তু সরকার যাতে বেশি রাজস্ব পায় তার ব্যবস্থা করা দরকার। পরে সেই আয় থেকে লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্টের জন্য খরচ করতে চাই।

মৎস্য উপদেষ্টা : আমরা সংস্কৃতির কথা বলছি, আবার বার্গার-স্যান্ডউইচও খাচ্ছি!

Update Time : ০৫:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫

সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:

কীভাবে সংস্কৃতি ধরে রাখতে হয়, সেটা পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিগোষ্ঠীরা দেখিয়েছেন মন্তব্য করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, কিন্তু আমরা সংস্কৃতির কথা বললেও বার্গার, স্যান্ডউইচ ছাড়া খাচ্ছি না। এভাবে আমরা নিজেদের খাদ্য ব্যবস্থা নষ্ট করে ফেলেছি।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরে শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহারে বিঝু, বৈসু, সাংগ্রাই, চাংক্রান,বিষু মেলা-২০২৫ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের অধিকার সমান। এখানে কোনো মানুষের অধিকার আলাদা হতে পারে না। এ কথা বলার জন্য পরিবেশ পেয়েছি। কারণ এ প্রজন্ম আমাদের শিখিয়েছে, কীভাবে অধিকার আদায় করতে হয়।

ফরিদা আখতার বলেন,
এ মেলায় পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিগোষ্ঠীরা দেখিয়েছেন কীভাবে সংস্কৃতি ধরে রাখতে হয়। কিন্তু আমরা একদিকে সংস্কৃতির কথা বলছি অন্যদিকে বার্গার, স্যান্ডুইচ ছাড়া খাচ্ছি না। এর ফলে আমরা নিজেদের খাদ্য ব্যবস্থা নষ্ট করে ফেলেছি। আর আপনারা নিজেদের খাদ্য রক্ষা করে চলছেন।

এ উপদেষ্টা বলেন,এত গুণ, প্রতিভা, ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও জাতি হিসেবে আপনারা কেন পিছিয়ে থাকবেন! যদিও পিছিয়ে থাকার জন্য বৈষম্যভিত্তিক সমাজ, রাষ্ট্র ও চিন্তাভাবনাই দায়ী। কিন্তু সবাই এ দেশের মানুষ। এখানে সমান অধিকার নিয়ে সবাই বেঁচে থাকতে চায়। তাই কোনো প্রকার বৈষম্য হতে পারে না।

পাহাড়ে জুম নিয়ন্ত্রণ বোর্ড করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,আমরা মনে করি জুম নিয়ন্ত্রণ নয় বরং জুম উন্নয়ন বোর্ড কীভাবে করা যায় তা নিয়ে কাজ করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে লাইভলিহুড কনসেপ্ট বাস্তবায়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন। রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদ থেকে বছরে ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা আয় হয়। এ আয়ের সিংহভাগ সরকারের রাজস্বে যোগ হয় না। কিন্তু সরকার যাতে বেশি রাজস্ব পায় তার ব্যবস্থা করা দরকার। পরে সেই আয় থেকে লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্টের জন্য খরচ করতে চাই।