সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:
টেকসই ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন জলবায়ু কর্মীরা।
আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে উন্নত দেশগুলোর দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশকে সহায়তার আহ্বান জুলবায়ী কর্মীদের। ছবি ভিডিও থেকে নেয়া
আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে উন্নত দেশগুলোর দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশকে সহায়তার আহ্বান জুলবায়ী কর্মীদের। ছবি ভিডিও থেকে নেয়া
মায়মুনা হায়দার চৌধুরী
বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘটের অংশ হিসেবে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এই আহ্বান জানান তারা।
এ সময় বৈশ্বিক জলবায়ু রক্ষায় রঙিন ব্যানার, পোস্টার হাতে দুই শতাধিক তরুণের ‘ভুয়া সমাধান নয়, নবায়নযোগ্য শক্তি চাই’ স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে সমাবেশস্থল।
জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরে জলবায়ু কর্মীরা বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়তে হলে জ্বালানি নীতিতে নবায়নযোগ্য উৎসগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
সমন্বিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে কমবে ব্যয়বহুল ও দূষিত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। তাই এই পরিকল্পনা দ্রুত সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন জলবায়ু কর্মীরা।
আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে উন্নত দেশগুলোর দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশকে সহায়তা নিশ্চিতের আহবানও জানান তারা।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, ইয়ুথনেট গ্লোবালের নির্বাহী সমন্বয়ক সোহানুর রহমান, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক কামরুজ্জামান মজুমদারসহ আরও অনেকে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে পৃথিবীকে রক্ষায় ২০১৮ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট পালন করে আসছেন সারা বিশ্বের তরুণ জলবায়ু কর্মীরা। মূলত এই ধর্মঘটের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে বিশ্বনেতাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা। বৈশ্বিক পর্যায়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত সংগঠন ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’ এ ধর্মঘটের মূল উদ্যোক্তা। ফ্রাইডেস ফর ফিউচারের সঙ্গে সমন্বয় করে বাংলাদেশে প্রতিবছর জলবায়ু ধর্মঘটের আয়োজন করে আসছে তরুণদের সংগঠন ইয়ুথনেট গ্লোবাল।