ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে চীনের অন্তত ১৫৫ নাগরিক লড়াই করছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট তার সরকারের সংগ্রহীত তথ্যের ভিত্তিতে যুদ্ধে ‘আরও অনেক’ চীনা নাগরিক জড়িত রয়েছে বলেও দাবি করেন।
যদিও বেইজিং একে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, ‘চীন ইউক্রেন সংকটের হোতাও নয়, এর কোনো পক্ষও নয়। আমরা এই সংকট শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের সক্রিয় সংগঠক এবং সমর্থক।’
এদিকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত রয়েছে। বুধবার স্থানীয় সময় রাতে ড্রোনের শব্দে ঘুম ভাঙে কিয়েভবাসীর।
কর্তৃপক্ষ জানায়, পর পর ৩০টি ড্রোন ছোটে শহরের দিকে। যদিও এর ১৬টি ভূপাতিতের দাবি করেছে তারা। ড্রোন হামলায় শহরের একটি গুদামে আগুন লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন।
একই রাতে দক্ষিণাঞ্চলীয় মাইকোলাইভ শহরে হামলায় আহত হন অনেকে। ধ্বংস হয় ৯টি আবাসিক ভবন, ৩০টি গ্যারেজ ও একটি প্রশাসনিক ভবন। অন্যদিকে দিনিপ্রো ও খারকিভসহ বেশ কয়েকটি শহরেও হামলা চালায় রাশিয়া।
অন্যদিকে পাল্টা অভিযানের দাবি করে ইউক্রেন বলছে, কুরস্ক অঞ্চলে রুশ ড্রোন ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। এই অঞ্চল থেকে ইউক্রেনকে পুরোপুরি সরিয়ে দেয়ার দাবি করেছে রাশিয়া।