, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মুজিবনগর সরকারের নাম পরিবর্তনের কোনও ইচ্ছা এ সরকারের নেই: উপদেষ্টা যুবদলের ৭ সাত নেতাকে সকালে বহিষ্কার, রাতে আবার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবার চাঁদাবাজির মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো যুক্তরাজ্যে মুসলিম কবরস্থানে হামলা ব্যবসায়ীর গোডাউনে টিসিবির পণ্য, বিক্রি করেছেন চেয়ারম্যান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে থাকা নালায় লেগুনা পড়ে নিহত ২, আহত ৩ জন ভরি কত? এবার ফের ইতিহাসের সর্বোচ্চ দাম স্বর্ণের! সারা দেশে রেল ব্লকেডের ডাক দিয়ে সড়ক ছাড়লেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা রাজধানীতে ৩ ঘণ্টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টি ইসরাইলকে শক্তিশালী বোমা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
নোটিশ :
মুজিবনগর সরকারের নাম পরিবর্তনের কোনও ইচ্ছা এ সরকারের নেই: উপদেষ্টা যুবদলের ৭ সাত নেতাকে সকালে বহিষ্কার, রাতে আবার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবার চাঁদাবাজির মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো যুক্তরাজ্যে মুসলিম কবরস্থানে হামলা ব্যবসায়ীর গোডাউনে টিসিবির পণ্য, বিক্রি করেছেন চেয়ারম্যান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে থাকা নালায় লেগুনা পড়ে নিহত ২, আহত ৩ জন ভরি কত? এবার ফের ইতিহাসের সর্বোচ্চ দাম স্বর্ণের! সারা দেশে রেল ব্লকেডের ডাক দিয়ে সড়ক ছাড়লেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা রাজধানীতে ৩ ঘণ্টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টি ইসরাইলকে শক্তিশালী বোমা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

অপ্রয়োজনীয় বক্তব্য’ এড়িয়ে চলতে ড. ইউনূসকে পরামর্শ দিয়েছেন মোদি: এনডিটিভি

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৩৯৪ Time View

অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা ড. ইউনূসের কাছে তুলে ধরেন মোদি। এছাড়া, সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ‘যে কোনও অপ্রয়োজনীয় বক্তব্য এড়িয়ে চলার’ পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি সাংবাদিকদের বলেন, গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গঠনে ভারতের সমর্থনের কথা প্রধানমন্ত্রী মোদি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ভারত এই সম্পর্ককে জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাতে চায় এবং দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সহযোগিতার ফলে উভয় দেশের মানুষই এর সুফল পেয়েছে। এই চেতনায়, বাস্তবতা ও ইতিবাচকতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে ভারতের ইচ্ছার কথা তিনি ড. ইউনূসকে জানিয়েছেন।

মিশ্রি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় এমন কোনও বক্তব্য এড়িয়ে চলাই ভালো। সীমান্তে আইনের কঠোর প্রয়োগ ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, বিশেষ করে রাতের বেলা, সীমান্তের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের, বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে বাংলাদেশ সরকার তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। তিনি সংখ্যালঘুদের ওপর হওয়া সহিংসতার সব ঘটনার তদন্তেরও তাগিদ দেন।

গত বছর আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এটিই দুই নেতার প্রথম বৈঠক।

এনডিটিভি লিখেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতার প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, যাতে ভারত সতর্ক নজর রাখছে।

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে শীতলতা দেখা দিয়েছে। গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবরে ভারত উদ্বেগ জানিয়েছে। তবে ঢাকা জোর দিয়ে বলেছে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা বাংলাদেশেরই বিষয়।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো নিয়ে ড. ইউনূসের সাম্প্রতিক এক মন্তব্য দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। চীনে সফরের সময় একটি ভিডিওতে ড. ইউনূসকে বলতে শোনা যায়, ভারতের সাতটি রাজ্য, যাদের সেভেন সিস্টার্স বলা হয়, তারা মূলত স্থলবেষ্টিত। তাদের সমুদ্রে যাওয়ার কোনও পথ নেই। বাংলাদেশই তাদের জন্য সমুদ্রের দরজা খুলে দিতে পারে। এটি চীনের অর্থনীতির জন্য বিশাল সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।

এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন, বাংলাদেশের নেতার এই বক্তব্য আপত্তিকর ও নিন্দনীয়। এটি ভারতের কৌশলগত ‘চিকেন্স নেক’ করিডোরকে নাজুক অবস্থানে ফেলার চেষ্টা।

তিনি উত্তর-পূর্বকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে আরও শক্তিশালী রেল ও সড়ক সংযোগ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

এর আগে, ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ড. ইউনূসকে চিঠি লিখে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। চিঠিতে তিনি পারস্পরিক সংবেদনশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ দুই দেশের অংশীদারত্বপূর্ণ ইতিহাস। তিনি লিখেছেন, শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং একে অপরের স্বার্থ ও উদ্বেগের প্রতি সংবেদনশীল থেকে আমরা এই সম্পর্ক আরও গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

৪/৪/২০২৫/সুরমা টিভি/শামীমা

মুজিবনগর সরকারের নাম পরিবর্তনের কোনও ইচ্ছা এ সরকারের নেই: উপদেষ্টা

অপ্রয়োজনীয় বক্তব্য’ এড়িয়ে চলতে ড. ইউনূসকে পরামর্শ দিয়েছেন মোদি: এনডিটিভি

Update Time : ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫

অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা ড. ইউনূসের কাছে তুলে ধরেন মোদি। এছাড়া, সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ‘যে কোনও অপ্রয়োজনীয় বক্তব্য এড়িয়ে চলার’ পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি সাংবাদিকদের বলেন, গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গঠনে ভারতের সমর্থনের কথা প্রধানমন্ত্রী মোদি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ভারত এই সম্পর্ককে জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাতে চায় এবং দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সহযোগিতার ফলে উভয় দেশের মানুষই এর সুফল পেয়েছে। এই চেতনায়, বাস্তবতা ও ইতিবাচকতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে ভারতের ইচ্ছার কথা তিনি ড. ইউনূসকে জানিয়েছেন।

মিশ্রি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় এমন কোনও বক্তব্য এড়িয়ে চলাই ভালো। সীমান্তে আইনের কঠোর প্রয়োগ ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, বিশেষ করে রাতের বেলা, সীমান্তের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের, বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে বাংলাদেশ সরকার তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। তিনি সংখ্যালঘুদের ওপর হওয়া সহিংসতার সব ঘটনার তদন্তেরও তাগিদ দেন।

গত বছর আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এটিই দুই নেতার প্রথম বৈঠক।

এনডিটিভি লিখেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতার প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, যাতে ভারত সতর্ক নজর রাখছে।

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে শীতলতা দেখা দিয়েছে। গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবরে ভারত উদ্বেগ জানিয়েছে। তবে ঢাকা জোর দিয়ে বলেছে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা বাংলাদেশেরই বিষয়।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো নিয়ে ড. ইউনূসের সাম্প্রতিক এক মন্তব্য দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। চীনে সফরের সময় একটি ভিডিওতে ড. ইউনূসকে বলতে শোনা যায়, ভারতের সাতটি রাজ্য, যাদের সেভেন সিস্টার্স বলা হয়, তারা মূলত স্থলবেষ্টিত। তাদের সমুদ্রে যাওয়ার কোনও পথ নেই। বাংলাদেশই তাদের জন্য সমুদ্রের দরজা খুলে দিতে পারে। এটি চীনের অর্থনীতির জন্য বিশাল সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।

এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন, বাংলাদেশের নেতার এই বক্তব্য আপত্তিকর ও নিন্দনীয়। এটি ভারতের কৌশলগত ‘চিকেন্স নেক’ করিডোরকে নাজুক অবস্থানে ফেলার চেষ্টা।

তিনি উত্তর-পূর্বকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে আরও শক্তিশালী রেল ও সড়ক সংযোগ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

এর আগে, ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ড. ইউনূসকে চিঠি লিখে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। চিঠিতে তিনি পারস্পরিক সংবেদনশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ দুই দেশের অংশীদারত্বপূর্ণ ইতিহাস। তিনি লিখেছেন, শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং একে অপরের স্বার্থ ও উদ্বেগের প্রতি সংবেদনশীল থেকে আমরা এই সম্পর্ক আরও গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

৪/৪/২০২৫/সুরমা টিভি/শামীমা