দক্ষিণ লেবাননের সিডনে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার, তার স্ত্রী এবং ছেলে নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সকালে এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, হাসান ফারহাত লেবাননে হামাসের পশ্চিম সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন।
ইসরাইলি বাহিনীর দাবি, ফারহাত ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘অসংখ্য ষড়যন্ত্রের’ নেপথ্যে ছিলেন এবং গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে উত্তর ইসরাইলে রকেট হামলার জন্যও দায়ী। ওই হামলায় একটি পর্যবেক্ষণ পোস্টে এক ইসরাইলি সেনা নিহত হয়।
এদিকে, গাজার বিভিন্ন এলাকায় হামলা জোরদার করেছে নেতানিয়াহুর সেনারা। এর মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলে বাস্তুচ্যুত পরিবারের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত একটি স্কুলে ইসরাইলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে নারী এবং শিশুও রয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় একটি হাসপাতালের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, গাজা শহরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় তুফাহ জেলার দার আল-আরকাম স্কুলে এ হামলা চালানো হয়। প্রাণহানির পাশাপাশি এতে বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
তবে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) গাজায় অন্তত তিনটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। আর এতে প্রাণ গেছে কমপক্ষে ৩৩ জনের।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দাবি, শহরের ‘হামাস কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে থাকা সন্ত্রাসীদের’ ওপর হামলা চালিয়েছে তারা। তবে কোনো স্কুলের কথা উল্লেখ করেনি নেতানিয়াহু বাহিনী।