, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ওবায়দুরের বাবা বাকরুদ্ধ,মা অজ্ঞান এবং স্ত্রীর কান্নায় ভারী আকাশ বাতাস। ১৯ সন্তানের মা হয়েও ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেছেন এক সৌদি নারী বিশেষ অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ দুই পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে দারুস সালাম থানা পুলিশ কোনো হঠকারিতা বা ভুল পদক্ষেপে সম্ভাবনা যেন বিনষ্ট না হয় : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ‘ ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষনাগার ‘ প্রদর্শন করলো ইরান ছবির প্রিমিয়ারে হার্ট অ্যাটাক, সংকটাপন্ন বলিউড অভিনেতা টিকু তালসানিয়া বাংলাদেশী পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে কলকাতা জাতীয় নাগরিক কমিটি বলেছে – স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করার মতো পরিস্থিতি আছে বিএসএফের গুলিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বাংলাদেশী তরুণ আহত সিইপিজেডে দুটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সংঘর্ষে আহত ১০

কড়া নিরাপত্তায় হলো বর্ষবরণ

saamima nasrin
  • Update Time : ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ২১ Time View

অনলাইন নিউজ ডেস্ক : আজ ১লা জানুয়ারি ২০২৫।সোমবার রাত থেকেই বিচ্ছিন্নভাবে নগরীর বিভিন্ন স্থানে শুনা যাচ্ছিলো পটকা ও আতশবাজির শব্দ। জানান দিচ্ছিলো ইংরেজি নতুন বছরকে বরণের সময় এসে গেছে। আগে থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়াকড়ি থাকবে- এমনটিও শুনা যায়। বিভিন্ন মদের বারেও কড়াকড়ি ছিল। বরাবরের মতো খোলা স্থানে অনুষ্ঠান আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবুও নতুন বছরকে বরণ করে নিতে পিছপা হয়নি নগরবাসী। পাঁচ তারকা হোটেল থেকে শুরু করে বাসাবাড়ির ছাদ, আবাসিক হোটেল, অভিজাত ক্লাব সর্বত্রই ভরপুর আয়োজন ছিল। পটকা, আতশবাজি, নাচ, গান, ডিজে, বারবিকিউসহ নানা আয়োজনে উদ্‌যাপন করা হয় ইংরেজি নতুন বছর। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিলসহ বেশ কিছু সড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত ও কোথাও বন্ধ করে দেয়ার পর শহর জুড়ে তীব্র যানজট দেখা দেয়। এতে করে ঘরমুখো মানুষের গন্তব্যে যেতেও সময় লাগে। ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী গতকাল থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে ডিএমপি কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ঢাকা শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিত পুলিশ মোতায়েন থাকে। প্রত্যেক ফাঁড়ি থেকে রাতের বেলা কমপক্ষে দুইটি পেট্রোল টিম থাকে, থানা থেকে চারটি-পাঁচটি টিম থাকে। এটা আমাদের রেগুলার ডিপ্লোয়মেন্ট। শুধু থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে এর বাইরে তিন হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা মনে করছি, এটা যথেষ্ট। আমরা কিছু পয়েন্টকে টার্গেট করেছি। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলশান, ৩০০ ফিট, উত্তরা দিয়াবাড়ী এলাকায় বেশি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আমাদের পুলিশ ফোর্সের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেটরা থাকবেন। তারা যেকোনো জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত চালালে আমাদের ফোর্স তাদের সহযোগিতা করবে। কমিশনার বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আতশবাজি ফুটিয়ে ইংরেজি নববর্ষকে বরণ করা হয়, বাংলাদেশে পরিবেশের এত সমস্যা কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রথমত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থার্টি ফার্স্ট উদ্‌যাপিত হয়। বেশির ভাগ দেশে এটি নববর্ষ, আমাদের দেশে নয়। দ্বিতীয়ত, অন্যান্য দেশে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ইংরেজি নববর্ষ উদ্‌যাপনের আয়োজন করা হয়, পুরো শহর জুড়ে আতশবাজি করা হয় না। তিনি আরও বলেন, আমরাও এ বছর ঢাকা মহানগরীর একটি নির্দিষ্ট স্থানে থার্টি ফার্স্ট ও ইংরেজি নববর্ষ উদ্‌যাপনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু এই বছর আমরা সেটি পারিনি। আশা করি, আগামী বছর আমরা সেটি আয়োজন করবো। থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কোনো থ্রেট আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো থ্রেট নেই। এর আগে ব্রিফিংয়ে ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে যাতে আতশবাজি, পটকা, ক্লাস্টার বোমা, রকেট বোমা না ফোটানো হয় সেজন্য গত এক সপ্তাহ ডিএমপি রাজধানীতে অভিযান পরিচালনা করে ১২৭ কেজি আতশবাজি, পটকা, ক্লাস্টার বোমা, রকেট বোমা জব্দ করেছে। এ বিষয়ে ৫টি মামলা হয়েছে এবং ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু পুলিশ বা পরিবেশ অধিদপ্তর দিয়ে শব্দদূষণ বন্ধ করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব রয়েছে। আমরা সবার সহযোগিতা চাই। এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাসও উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, থার্টি ফার্স্ট নাইটে দুর্ঘটনারোধে বাসাবাড়ির ছাদ ও ভবন, উন্মুক্ত স্থান, পার্কে আতশবাজি, পটকা ফোটানো বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন।থার্টি ফার্স্টে ডিএমপি’র যত নির্দেশনা: থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ ২০২৫ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জনজীবন স্বাভাবিক রক্ষার স্বার্থে ডিএমপি’র গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ট্রাফিক নির্দেশনা প্রদান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ডিএমপি। এতে বলা হয়, থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে অনুমতি ব্যতীত উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান, সভা-সমাবেশ, গণ-জমায়েত, নাচ, গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র‌্যালি ও শোভাযাত্রা করা যাবে না। ঢাকা মহানগর এলাকায় যেকোনো ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস উড়ানো নিষিদ্ধ করা হলো। ৩১শে ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১লা জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরী এলাকায় সকল বার বন্ধ থাকবে। আবাসিক হোটেলগুলো সীমিত আকারে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে। ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে ৩১শে ডিসেম্বর সন্ধ্যা ও পহেলা জানুয়ারি ভোর পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেঁস্তরা, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সকল প্রকার লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ ৩১শে ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে স্ব-স্ব এলাকায় প্রত্যাবর্তন করবেন এবং রাত ৮টার পরে প্রবেশের ক্ষেত্রে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যবৃন্দকে পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত সম্মানিত নাগরিকবৃন্দকে ৩১শে ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে স্ব-স্ব এলাকায় প্রত্যাবর্তনের কথা বলা হয়েছে। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে উক্ত এলাকায় বসবাসরত নাগরিকবৃন্দ নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন। এ ছাড়া হাতিরঝিল এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে কোনো সমাবেশ বা অনুষ্ঠান করা যাবে না এবং কোনো যানবাহন থামিয়ে অথবা পার্কিং করে কেউ অবস্থান করতে পারবেন না। একইভাবে উপর্যুক্ত সময়ে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যে সকল নাগরিক বসবাস করেন না তাদেরকে বর্ণিত এলাকায় গমনের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। উচ্চ শব্দে গাড়ির হর্ন বাজানো বা গণ-উপদ্রব সৃষ্টি করে এমন কোনো গানবাজনা চালানো যাবে না।

১ জানুয়ারি ২০২৫, বুধবার/সুরমা টিভি ২৪/শামীমা

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

কড়া নিরাপত্তায় হলো বর্ষবরণ

Update Time : ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫

অনলাইন নিউজ ডেস্ক : আজ ১লা জানুয়ারি ২০২৫।সোমবার রাত থেকেই বিচ্ছিন্নভাবে নগরীর বিভিন্ন স্থানে শুনা যাচ্ছিলো পটকা ও আতশবাজির শব্দ। জানান দিচ্ছিলো ইংরেজি নতুন বছরকে বরণের সময় এসে গেছে। আগে থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়াকড়ি থাকবে- এমনটিও শুনা যায়। বিভিন্ন মদের বারেও কড়াকড়ি ছিল। বরাবরের মতো খোলা স্থানে অনুষ্ঠান আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবুও নতুন বছরকে বরণ করে নিতে পিছপা হয়নি নগরবাসী। পাঁচ তারকা হোটেল থেকে শুরু করে বাসাবাড়ির ছাদ, আবাসিক হোটেল, অভিজাত ক্লাব সর্বত্রই ভরপুর আয়োজন ছিল। পটকা, আতশবাজি, নাচ, গান, ডিজে, বারবিকিউসহ নানা আয়োজনে উদ্‌যাপন করা হয় ইংরেজি নতুন বছর। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিলসহ বেশ কিছু সড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত ও কোথাও বন্ধ করে দেয়ার পর শহর জুড়ে তীব্র যানজট দেখা দেয়। এতে করে ঘরমুখো মানুষের গন্তব্যে যেতেও সময় লাগে। ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী গতকাল থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে ডিএমপি কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ঢাকা শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিত পুলিশ মোতায়েন থাকে। প্রত্যেক ফাঁড়ি থেকে রাতের বেলা কমপক্ষে দুইটি পেট্রোল টিম থাকে, থানা থেকে চারটি-পাঁচটি টিম থাকে। এটা আমাদের রেগুলার ডিপ্লোয়মেন্ট। শুধু থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে এর বাইরে তিন হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা মনে করছি, এটা যথেষ্ট। আমরা কিছু পয়েন্টকে টার্গেট করেছি। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলশান, ৩০০ ফিট, উত্তরা দিয়াবাড়ী এলাকায় বেশি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আমাদের পুলিশ ফোর্সের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেটরা থাকবেন। তারা যেকোনো জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত চালালে আমাদের ফোর্স তাদের সহযোগিতা করবে। কমিশনার বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আতশবাজি ফুটিয়ে ইংরেজি নববর্ষকে বরণ করা হয়, বাংলাদেশে পরিবেশের এত সমস্যা কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রথমত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থার্টি ফার্স্ট উদ্‌যাপিত হয়। বেশির ভাগ দেশে এটি নববর্ষ, আমাদের দেশে নয়। দ্বিতীয়ত, অন্যান্য দেশে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ইংরেজি নববর্ষ উদ্‌যাপনের আয়োজন করা হয়, পুরো শহর জুড়ে আতশবাজি করা হয় না। তিনি আরও বলেন, আমরাও এ বছর ঢাকা মহানগরীর একটি নির্দিষ্ট স্থানে থার্টি ফার্স্ট ও ইংরেজি নববর্ষ উদ্‌যাপনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু এই বছর আমরা সেটি পারিনি। আশা করি, আগামী বছর আমরা সেটি আয়োজন করবো। থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কোনো থ্রেট আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো থ্রেট নেই। এর আগে ব্রিফিংয়ে ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে যাতে আতশবাজি, পটকা, ক্লাস্টার বোমা, রকেট বোমা না ফোটানো হয় সেজন্য গত এক সপ্তাহ ডিএমপি রাজধানীতে অভিযান পরিচালনা করে ১২৭ কেজি আতশবাজি, পটকা, ক্লাস্টার বোমা, রকেট বোমা জব্দ করেছে। এ বিষয়ে ৫টি মামলা হয়েছে এবং ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু পুলিশ বা পরিবেশ অধিদপ্তর দিয়ে শব্দদূষণ বন্ধ করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব রয়েছে। আমরা সবার সহযোগিতা চাই। এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাসও উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, থার্টি ফার্স্ট নাইটে দুর্ঘটনারোধে বাসাবাড়ির ছাদ ও ভবন, উন্মুক্ত স্থান, পার্কে আতশবাজি, পটকা ফোটানো বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন।থার্টি ফার্স্টে ডিএমপি’র যত নির্দেশনা: থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ ২০২৫ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জনজীবন স্বাভাবিক রক্ষার স্বার্থে ডিএমপি’র গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ট্রাফিক নির্দেশনা প্রদান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ডিএমপি। এতে বলা হয়, থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে অনুমতি ব্যতীত উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান, সভা-সমাবেশ, গণ-জমায়েত, নাচ, গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র‌্যালি ও শোভাযাত্রা করা যাবে না। ঢাকা মহানগর এলাকায় যেকোনো ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস উড়ানো নিষিদ্ধ করা হলো। ৩১শে ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১লা জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরী এলাকায় সকল বার বন্ধ থাকবে। আবাসিক হোটেলগুলো সীমিত আকারে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে। ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে ৩১শে ডিসেম্বর সন্ধ্যা ও পহেলা জানুয়ারি ভোর পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেঁস্তরা, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সকল প্রকার লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ ৩১শে ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে স্ব-স্ব এলাকায় প্রত্যাবর্তন করবেন এবং রাত ৮টার পরে প্রবেশের ক্ষেত্রে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যবৃন্দকে পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত সম্মানিত নাগরিকবৃন্দকে ৩১শে ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে স্ব-স্ব এলাকায় প্রত্যাবর্তনের কথা বলা হয়েছে। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে উক্ত এলাকায় বসবাসরত নাগরিকবৃন্দ নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন। এ ছাড়া হাতিরঝিল এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে কোনো সমাবেশ বা অনুষ্ঠান করা যাবে না এবং কোনো যানবাহন থামিয়ে অথবা পার্কিং করে কেউ অবস্থান করতে পারবেন না। একইভাবে উপর্যুক্ত সময়ে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যে সকল নাগরিক বসবাস করেন না তাদেরকে বর্ণিত এলাকায় গমনের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। উচ্চ শব্দে গাড়ির হর্ন বাজানো বা গণ-উপদ্রব সৃষ্টি করে এমন কোনো গানবাজনা চালানো যাবে না।

১ জানুয়ারি ২০২৫, বুধবার/সুরমা টিভি ২৪/শামীমা