ভারতের গুজরাটে একটি আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬ জন। এছাড়া ভেতরে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আটকা পড়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এ খবর জানানো হয়েছে।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদন মতে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে গুজরাটের বানাসকান্থা জেলায় একটি আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর আগুন ধরে যায়। নারকীয় বিপর্যয়ের মধ্যে অনেকেই হতাহত হয়।
জেলা কালেক্টর মিহির প্যাটেল জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ জন নিহত এবং আরও ছয়জন আহত হয়েছেন। তিনি আরও জানান, ১৯ জনের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। বাকি দুজনের পরিচয় জানার জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
নিহতরা সবাই মধ্যপ্রদেশের হরদা ও দেওয়াস জেলার বাসিন্দা বলেও জানান এই কর্মকর্তা। বিস্ফোরণটি এতটাই তীব্র ছিল যে শ্রমিকদের দেহের অংশ ২০০-৩০০ মিটার দূরে গিয়ে পড়ে।
প্রতিবেদন মতে, কারখানাটিতে অবৈধভাবে আতশবাজি তৈরি করা হত এবং সেখানে আতশবাজি মজুত করেও রাখা হত। একই জায়গায় কারখানার শ্রমিকরা তাদের পরিবার নিয়ে থাকতেন। বিস্ফোরণের পর কারখানার আরসিসি স্ল্যাব তাদের ওপর ভেঙে পড়ে। এতে তাদের মৃত্যু হয়।
বানাসকণ্ঠ জেলার পুলিশ সুপার অক্ষয়রাজ মাকওয়ানা জানান, খবর পাওয়া মাত্রই স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়। পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, বিস্ফোরণের পর ভবনের স্ল্যাব ধসে পড়ায় মৃত্যু হয়েছে এত মানুষের। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, জেলার পাথরপ্রতিম ধোলাহাট এলাকায় আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে যা পাশের একটি বাড়িতেও ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদিয়া জেলার কল্যাণীতে একটি আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে উড়ে যায় কারখানাটি। এতে এখন পর্যন্ত চার জনের মৃত্যু হয়।