ইসরাইল ত্রাণ ও খাদ্য সামগ্রী প্রবেশ বন্ধ করে দেয়ায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। ময়দা ও অন্যান্য সামগ্রীর অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে বেকারিগুলো। এমন অবস্থায় গত বছর মার্চ মাসের মতো আবারও দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে ফিলিস্তিনিরা।
গাজায় ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশে অনুমতি দিতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। তবে নেতানিয়াহু প্রশাসন তাতে কর্ণপাত করছে না।
তাদের দাবি, গাজায় এখনও পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী রয়েছে। তাদের এই দাবিকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছে জাতিসংঘ। এমন পরিস্থিতির মধ্যে গাজাজুড়ে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী।
এক টুকরো রুটি পাওয়ার আশায় দীর্ঘ অপেক্ষায় গাজার বাসিন্দারা। পেটে ক্ষুধা আর অসহায়ত্বের ছাপ চোখেমুখে স্পষ্ট। ময়দা, জ্বালানী ও অন্যান্য উপকরণের অভাবে বন্ধ উপত্যকার খাবারের দোকান। এ অবস্থায় ক্ষুধার জ্বালা নিয়ে দিন পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। এমনটাই জানিয়েছে গাজার বেকারি সমিতি।
তবে এখনও গাজায় পর্যাপ্ত খাবার রয়েছে বলে দাবি করেছে তেল আবিব। তাদের এই দাবিকে হাস্যকর বলে অভিহিত করেছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, মানবিক সহায়তার শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে গাজা।
দুজারিক আরও বলেন, ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির সময় গাজায় প্রবেশ করা মানবিক সহায়তা হামাস জব্দ করেছে এ বিষয়ে ইসরাইলি কর্মকর্তারা যে দাবি করেছেন, তা সত্য নয়। জাতিসংঘের বিতরণ করা সব সহায়তার যথাযথ হিসাব সংরক্ষণের পাশাপাশি তা পরিচালনা করা হয়েছে।
গত ২৩ মার্চ রাফায় আহত ব্যক্তিদের সাহায্যে তাদের পাঠানো হয়। এরপর ইসরাইলি বাহিনীর নৃশংসতার শিকার হন ওই উদ্ধারকর্মীরা। এদিকে যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে হতাহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা ও আনাদোলু