ভারত, পাকিস্তানসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। শত শত মুসল্লির পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে ইন্দোনেশিয়ার জাতিনেগার সড়ক। ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া করা হয় দক্ষিণ কোরিয়াতেও। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
স্থানীয় সময় সোমবার (৩১ মার্চ) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে হাজারো মুসল্লির পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে ভারতের দিল্লির বৃহত্তর জামা মসজিদ। পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে মোনাজাতে বিশ্ব উম্মাহর শান্তি কামনা করেন তারা। এরপর একে অপরকে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
ভারতের অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গেও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় ঈদুল ফিতর। এদিনে কলকাতার রেড রোডে আয়োজিত হয় সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত। সমবেত হন কয়েক লাখ মুসল্লি।
কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এভাবেই পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন ইন্দোনেশিয়ার মুসলিমরা। স্থানীয় সময় সোমবার রাজধানী জাকার্তার জাতিনেগার সড়কে নামাজ আদায়ে জড়ো হন শত শত মুসলিম।
দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন মালেয়শিয়ার স্থানীয় ও প্রবাসী মুসলিমরা। সকাল সাড়ে ৮ টায় কুয়ালালামপুরের অধিকাংশ মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজের খুতবায় মুসলিম উম্মাহর মধ্যে উন্নত সম্পর্ক, দেশকে সামগ্রিকভাবে গড়ে তোলা, মুসলিমদের মাঝে পারস্পারিক ভালোবাসা, শ্রদ্ধাবোধ, সহনশীলতা ও ঐক্যবদ্ধভাবে বসবাসের আহ্বান জানানো হয়।
যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে অস্ট্রিলয়ায়ও উদযাপিত হয়েছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র ঈদুল ফিতর। নামাজে অংশ নেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।
এদিকে স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৯টায় দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদ উদযাপন করেন দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ও স্থানীয় মুসলিমরা।
এছাড়া আনসান, হোয়াসং বায়তুল ফালাহ, সংওরি মসজিদ, পাজু মসজিদসহ অধিকাংশ জায়গায় একাধিক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এসময় গাজার ফিলিস্তিনিদের মুসলমানের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এদিন ঈদের ছুটি না থাকায় নামাজ শেষে নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যান অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি।