মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে। আহত প্রায় ১৬৭০ জন। এখনও ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে জীবিতদের সন্ধানে অভিযান চলছে। গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত মিয়ানমান এই পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণে যে কোনো দেশ, যে কোনো সংস্থার প্রতি সহায়তার আবেদন জানিয়েছে।
মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর শনিবার (২৯ মার্চ) আন্তর্জাতিক সাহায্য পৌঁছাতে শুরু করেছে, কারণ নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের ফলে মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধে জরুরি পরিষেবাগুলো মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়েছে। যার ফলে এই বিশাল দুর্যোগ মোকাবিলায় তাদের পর্যাপ্ত সরঞ্জামের অভাব রয়েছে।
২০২১ সালে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয় এবং পরবর্তীতে অভ্যুত্থান-বিরোধী বিক্ষোভের উপর সহিংস দমন-পীড়ন চালায় জান্তা সরকার। এর প্রতিক্রিয়ায় জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলে সহিংস পরিস্থিতি শুরু হয় দেশটিতে।
এদিকে, ভারত প্রথম সহায়তাকারী দেশ হিসেবে জান্তা সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের ভূমিকম্পে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন। সকলের নিরাপত্তা এবং সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেছেন।
ভারতীয় বিমান বাহিনী মিয়ানমারকে সহায়তা করার জন্য তার হিন্ডন বিমান ঘাঁটি থেকে ১৫ টন ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে তাঁবু, কম্বল, জল পরিশোধক এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রও সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন যে, ওয়াশিংটন মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রেখেছে। তিনি বলেন, ‘এটি সত্যিই খারাপ পরিস্থিতি। আমরা সাহায্য করব।’
শনিবার চীনা উদ্ধারকারী দল মিয়ানমারে পৌঁছেছে এবং রাশিয়াও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সহায়তার।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, রাশিয়া ১২০ জন অভিজ্ঞ উদ্ধারকারীর পাশাপাশি ডাক্তার এবং অনুসন্ধানী কুকুর পাঠাচ্ছে।
শুক্রবার মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। এর আঘাত লাগে প্রতিবেশি থ্যাইল্যান্ডেও। মিয়ানমারের মান্দালয় শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি থাইল্যান্ডেও ক্ষয়ক্ষতি হয়।