ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরী খেলবেন বাংলাদেশের জার্সিতে, কোটি বাঙালি ফুটবল ভক্তদের এমন স্বপ্ন অবশেষে সত্যি হয়েছে। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে লাল জার্সি গায়ে জড়িয়ে মাঠ মাতিয়েছেন হামজা। পুরো ম্যাচজুড়ে ছিলেন দুর্দান্ত, বাংলাদেশের জার্সিতে নিজের জাত চিনিয়েছেন নতুন করে।
ফাহমিদুলের সঙ্গে জুটি বেঁধে বাংলাদেশ দলের স্ট্রাইকারের অভাব দূর করতে পারেন স্প্যানিশ ক্লাব রায়ো ভায়েকানোর ‘সি’ টিমে খেলা বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত জিদান মিয়া। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের পাসপোর্টও করে ফেলেছেন। বাফুফে ডাকলেই সাড়া দিবেন জিদান। তবে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন থেকে অফিসিয়ালি যোগাযোগ করা হয়নি জিদান মিয়া কিংবা তার পরিবারের সঙ্গে।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হলেও আক্ষেপের কমতি ছিলো না। পুরো ৯০ মিনিটেই ছিলো গোল মিসের মহড়া, একের পর ক্লিয়ার চাঞ্চ মিস করে বাড়িয়েছেন আক্ষেপ। একজন ফিনিশারের অভাবটা বহুদিনের, এ ম্যাচেও তার ছাপ স্পষ্ট। অনেকেই বলছেন, ইতালিতে খেলা ফাহমিদুল থাকলে একজন স্ট্রাইকারের অভাবটা হয়তো কিছুটা হলেও পূরণ হতো।
জিদান মিয়ার বাবা সুফিয়ান মিয়া সময় সংবাদকে বলেন, ‘আমরাও চাই বাংলাদেশ টিম ভালো করুক। হামজা চৌধুরী তো গেছে, তো আমি জানি এখানে জিদানের নাম এসেছে অনেক বার।’
তিনি আরও বলেন, বাফুফে থেকে তাদের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। ‘এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে কোনও ইনভিটেশন কিংবা অফিসিয়ালি যে যোগাযোগটা, সেটি হয় নাই। কিন্তু আমিও চাই আমার ছেলে বাংলাদেশ দলে খেলুক।’
২০০১ সালের ৭ মার্চ যুক্তরাজ্যের কেন্ট শহরে সুফিয়ান মিয়া ও শিপা মিয়ার ঘরে জন্ম জিদান মিয়ার। সুফিয়ান এবং শিপার পৈতৃক বাড়ি সিলেটের মৌলভীবাজার উপজেলার রাজনগরের। লন্ডনে তারা পাড়ি জমিয়েছেন বহু আগে।