, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ দান

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ০৮:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
  • ১৩৯৪ Time View


অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের অন্যতম পথিকৃৎ, সংগীতজ্ঞ ও ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানাটমি বিভাগে দান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) তার ছেলে পার্থ তানভীর নভেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বেলা ১১টার দিকে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। সন্‌জীদা খাতুন ১৯৯৮ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে নিজের দেহ দানের সিদ্ধান্ত নেন এবং সে সময় একটি চুক্তি করেন। তার মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা সেই চুক্তি অনুযায়ী মরদেহ দান করেন।

মরদেহ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন পার্থ তানভীর নভেদ, তার ছোট বোন রুচিরা তাবাসসুম নভেদ, বড় বোনের স্বামী সাংবাদিক নিয়াজ মোরশেদ কাদেরী এবং ছোট বোনের দেবর অধ্যাপক মানজারে শামীম।

পার্থ তানভীর নভেদ আরও জানান, ১৯৯৮ সালে চুক্তির সময় অধ্যাপক মানজারে শামীম উপস্থিত ছিলেন এবং মরদেহ হস্তান্তরের সময়ও তিনিই ছিলেন।

প্রথমে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রবাসে থাকা স্বজনদের আসার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে শেষ পর্যন্ত সন্‌জীদা খাতুনের নিজস্ব ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পরিবারের সদস্যরা তার মরদেহ চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণার জন্য দান করেন।

গত মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বেলা ৩টা ১০ মিনিটে ৮৭ বছর বয়সে সন্‌জীদা খাতুন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এরপর রাতে তার মরদেহ হিমঘরে রাখা হয়। বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুরে মরদেহ নেওয়া হয় ছায়ানট ভবনে, সেখানে তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী, শিক্ষার্থী ও সংস্কৃতিকর্মীরা শেষ শ্রদ্ধা জানান। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হলে শিল্পী, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

২৭/৩/২০২৫/ সুরমা টিভি /শামীমা

চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ দান

Update Time : ০৮:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫


অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের অন্যতম পথিকৃৎ, সংগীতজ্ঞ ও ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানাটমি বিভাগে দান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) তার ছেলে পার্থ তানভীর নভেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বেলা ১১টার দিকে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। সন্‌জীদা খাতুন ১৯৯৮ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে নিজের দেহ দানের সিদ্ধান্ত নেন এবং সে সময় একটি চুক্তি করেন। তার মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা সেই চুক্তি অনুযায়ী মরদেহ দান করেন।

মরদেহ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন পার্থ তানভীর নভেদ, তার ছোট বোন রুচিরা তাবাসসুম নভেদ, বড় বোনের স্বামী সাংবাদিক নিয়াজ মোরশেদ কাদেরী এবং ছোট বোনের দেবর অধ্যাপক মানজারে শামীম।

পার্থ তানভীর নভেদ আরও জানান, ১৯৯৮ সালে চুক্তির সময় অধ্যাপক মানজারে শামীম উপস্থিত ছিলেন এবং মরদেহ হস্তান্তরের সময়ও তিনিই ছিলেন।

প্রথমে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রবাসে থাকা স্বজনদের আসার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে শেষ পর্যন্ত সন্‌জীদা খাতুনের নিজস্ব ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পরিবারের সদস্যরা তার মরদেহ চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণার জন্য দান করেন।

গত মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বেলা ৩টা ১০ মিনিটে ৮৭ বছর বয়সে সন্‌জীদা খাতুন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এরপর রাতে তার মরদেহ হিমঘরে রাখা হয়। বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুরে মরদেহ নেওয়া হয় ছায়ানট ভবনে, সেখানে তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী, শিক্ষার্থী ও সংস্কৃতিকর্মীরা শেষ শ্রদ্ধা জানান। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হলে শিল্পী, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

২৭/৩/২০২৫/ সুরমা টিভি /শামীমা