গত ১৫ মার্চ ইয়েমেনে হামলার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তবে জেফরির দাবি, তিনি ওই সিগনাল গ্রুপ থেকে আগেই এই হামলার বার্তা পান।
সোমবার অনলাইনে পোস্ট করা এক প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিরক্ষা সচিবসহ শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ইয়েমেনে আসন্ন সামরিক হামলার যুদ্ধ পরিকল্পনা একটি নিরাপদ মেসেজিং অ্যাপের গ্রুপ চ্যাটে টেক্সট করেছেন। যেখানে দ্য আটলান্টিকের প্রধান সম্পাদকও ছিলেন।
লোহিত সাগরের জাহাজ চলাচলের ওপর হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৫ মার্চ ইয়েমেনের হুতিদের বিরুদ্ধে বৃহৎ পরিসরে সামরিক হামলা শুরু করেন এবং হুতিদের প্রধান সমর্থক ইরানকে সতর্ক করেন, তাদের অবিলম্বে এই গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন বন্ধ করা উচিত।
হামলা শুরু হওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ মেসেজিং গ্রুপে হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে অপারেশনাল বিবরণ পোস্ট করেছিলেন। যেখানে হামলার লক্ষ্যবস্তু, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে অস্ত্র মোতায়েন করবে এবং আক্রমণের ধারাবাহিকতা সম্পর্কেও তথ্য ছিল বলে গোল্ডবার্গ জানান।
গোল্ডবার্গ লিখেছেন, চ্যাট গ্রুপে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, সিআইএ পরিচালক জন র্যাটক্লিফ, জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড, এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।
এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, তিনি এই ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
‘আমি এ সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমি দ্য আটলান্টিকের খুব একটা বড় ভক্ত নই,’ বলেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তা পরে বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং ট্রাম্পকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক কর্মকর্তা বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা পর্যালোচনা করছি কীভাবে অসাবধানতাবশত ঘটনাটি ঘটেছে।’
অন্যদিকে হেগসেথ গ্রুপ চ্যাটে যুদ্ধ পরিকল্পনা শেয়ার করার কথা অস্বীকার করেছেন। ‘কেউ যুদ্ধ পরিকল্পনা টেক্সট করেনি,’ সোমবার হাওয়াইতে এক সরকারি সফরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন।
সোমবার গভীর রাতে সিএনএন-এ এক সাক্ষাৎকারে হেগসেথের অস্বীকারের জবাবে গোল্ডবার্গ বলেন, ‘না। এটা মিথ্যা। তিনি যুদ্ধ পরিকল্পনা টেক্সট করছিলেন।’
ডেমোক্র্যাট আইন প্রণেতারা ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এই ভুলের দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানান। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার লঙ্ঘন এবং আইনের লঙ্ঘন যা কংগ্রেসের তদন্ত করা উচিত।
সূত্র: রয়টার্স