সুরমা টিভি ২৪ নিউজ ডেস্ক:
প্রথম দুই ম্যাচে বাজে হারের পর তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালো বাবর-রিজওয়ানহীন পাকিস্তান। হাসান নেওয়াজের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারালো সালমান আলী আঘার নেতৃত্বাধীন দলটি।
তৃতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ালো পাকিস্তান।
অকল্যান্ডে শুক্রবার (২১ মার্চ) সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২০৪ রান তাড়া করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ৪ ওভার হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান। অভিষেকের পর প্রথম দুই ম্যাচে ডাক মারা হাসান নেওয়াজ এদিন দলকে জেতানোর পথে ৪৫ বলে ১০৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এছাড়া অধিনায়ক সালমান আলী আঘা ৩১ বলে ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এখন থেকে নিজেদের দল সাজাচ্ছে পাকিস্তান। যে প্রকল্পে প্রথম এসাইনমেন্ট হিসেবে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের মতো অভিজ্ঞদের বাদ দিয়ে সালমানের নেতৃত্বে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ডে অবস্থান করছে মেন ইন গ্রিন। এর মধ্যে প্রথম দুই ম্যাচে বাজেভাবে হেরে সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল তারা। তবে তৃতীয় ম্যাচে আর সমালোচকদের সুযোগ দেননি সালমানের নেতৃত্বাধীন দল।
দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। ২০৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪ ওভার হাতে থাকতেই ২০৭ রান তুলে নেয় তারা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এর আগে ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০৭ রান তাড়া করে জিতেছিল তারা। সে দলের তুলনায় এ দলটি একেবারে অনভিজ্ঞ। কাজটা সেরেছেন মাত্র তৃতীয় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা হাসান নেওয়াজ।
শুরু থেকে মোহাম্মদ হারিসের সঙ্গে মারমুখী ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে দলকে এনে দেন ৭৫ রান। টি-টোয়েন্টির পাওয়ার প্লেতে এটি পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ড। হারিস অবশ্য বেশিক্ষণ হাসানের সঙ্গী হতে পারেননি। ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে ২০ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কার মারে ৪১ রান করেন তিনি।
এরপর অধিনায়ক সালমানের সঙ্গে নতুন করে জুটি গড়েন হাসান। দুই জন দুই প্রান্ত থেকে ঝড় তুলতে থাকেন। তবে সবচেয়ে বিধ্বংসী ছিলেন ২২ বছর বয়সী হাসান। অভিষেকের পর প্রথম দুই ম্যাচে ডাক মারা এ ব্যাটার তৃতীয় ম্যাচে সুযোগ পেয়ে আস্থার প্রতিদান দেন। ৪৪ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ১০ চার ও ৭ ছক্কায় ১০৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অন্যদিকে ৩১ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৫১ রানে অপরাজিত থেকে পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে জয়ের স্বাদ নেন সালমানও।
কিউইদের পক্ষে একমাত্র উইকেটটি শিকার করেন জ্যাকব ডাফি। সবচেয়ে খরুচে ছিলেন কাইল জ্যামিসন। ৪ ওভারে তিনি দেন ৫৪ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মার্ক চাপম্যানের কল্যাণে ১৯.৫ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে ২০৪ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। চাপম্যান ৪৪ বলে ১১ চার ও ৪ ছক্কায় ৯৪ রান করে আউট হন। এছাড়া মাইকেল ব্রেসওয়েল ১৮ বলে ৩১ আর টিম সেইফার্ট ৯ বলে ১৯ রান করেন। বাকিরা খুব একটা দ্যুতি ছড়াতে পারেননি। পাকিস্তানের পক্ষে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২৯ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন হারিস রউফ। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি, আব্ররার আহমেদ ও আব্বাস আফ্রিদি।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজে আপাতত ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে নিউজিল্যান্ড। পরের দুই ম্যাচের একটি জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত হবে স্বাগতিকদের। অন্যদিকে সিরিজ জিততে দুটো ম্যাচই জিততে হবে পাকিস্তানকে।