, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় চলছে “জয়নুল উৎসব”

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১৪৭১ Time View

শামীমা নাসরীন

প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং

বাংলাদেশের আধুনিক শিল্পকলার পথিকৃৎ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১১০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জয়নুল উৎসব ২০২৪।

আজ শুক্রবার সকালে চারুকলা প্রাঙ্গণে মেলা ও প্রদর্শনী উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এ উৎসব।উদ্বোধন আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘শিল্পকলায় জয়নুল আবেদিনের অবদান অসামান্য।

এই উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিল্পকলা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবে।’চারুকলা প্রাঙ্গণে মেলা ও প্রদর্শনী উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে জয়নুল উৎসব। চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ২৭ ডিসেম্বরছবি: জাহিদুল করিমপ্রতিবছরের মতো এবারও চারুকলা অনুষদ জয়নুল আবেদিনের ১১০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ মেলার আয়োজন করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক শিল্পী হাশেম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক শিল্পী আবদুস সাত্তার এবং চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডক্টর আজহারুল ইসলাম শেখসহ শিল্পী, শিক্ষক ও অতিথিরা।হাশেম খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৯৫৮ সালে পাকিস্তান শাসনের সময়েও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন লোকশিল্প মেলার আয়োজন করেছিলেন ঢাকা আর্ট কলেজে।

সংস্কৃতি রক্ষায় স্লোগান না দিয়েও রাজনৈতিকভাবে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেন শিল্পী। আর সেই অভিজ্ঞতা জয়নুল আবেদিনের জীবনের বিভিন্ন পদক্ষেপ থেকে দেখে শেখার আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পয়লা বৈশাখের উৎসব, নবান্নের আয়োজন বা যেকোনো লোকশিল্প মেলাই বাঙালির সংস্কৃতি রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ছেলে প্রকৌশলী ময়নুল আবেদিন প্রথম আলোকে বলেন,‘আমার বাবার জন্মদিন ২৯ তারিখ। প্রতিবছর ওই দিনেই চারুকলায় উৎসব শুরু হয়। তবে এবার শুক্র ও শনিবার বন্ধের হিসাব করে এবং ৪ তারিখ থেকে অনুষদের পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে আয়োজনটি দুই দিন এগিয়ে আনা হয়েছে। তবে সম্মাননা প্রদান করা হবে উৎসবের শেষ দিন ২৯ তারিখে।’

এ বছর ‘জয়নুল সম্মাননা ২০২৪’ পাচ্ছেন শিল্পী অধ্যাপক মিজানুর রহিম ও শিল্পী অধ্যাপক রফিকুল আলম।

আজ সকালে চারুকলা অনুষদের মাঠে মেলার উদ্বোধনের পর অতিথিরা শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে চারুকলা অনুষদের ‘ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং’, ভাস্কর্য, গ্রাফিক ডিজাইন, প্রিন্টমেকিং, ওরিয়েন্টাল আর্ট, সিরামিকসহ সব বিভাগের শিক্ষকদের আঁকা ছবি ও কাজ।প্রতিবারের মতো এবারও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শিল্পীরা জয়নুল উৎসবে যোগ দিয়েছেন।

মেলায় পটচিত্র থেকে বায়োস্কোপ, মৃৎশিল্প থেকে বেতের কাজ, সেলাই কর্ম থেকে ধাতব শিল্পের জিনিসপত্র নিয়ে বসেছে পসরা। চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরাও নিজেদের হাতের কাজ নিয়ে মেলায় অংশ নিয়েছেন।

আজ থেকে আগামী রোববার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় চলছে “জয়নুল উৎসব”

Update Time : ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

শামীমা নাসরীন

প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং

বাংলাদেশের আধুনিক শিল্পকলার পথিকৃৎ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১১০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জয়নুল উৎসব ২০২৪।

আজ শুক্রবার সকালে চারুকলা প্রাঙ্গণে মেলা ও প্রদর্শনী উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এ উৎসব।উদ্বোধন আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘শিল্পকলায় জয়নুল আবেদিনের অবদান অসামান্য।

এই উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিল্পকলা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবে।’চারুকলা প্রাঙ্গণে মেলা ও প্রদর্শনী উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে জয়নুল উৎসব। চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ২৭ ডিসেম্বরছবি: জাহিদুল করিমপ্রতিবছরের মতো এবারও চারুকলা অনুষদ জয়নুল আবেদিনের ১১০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ মেলার আয়োজন করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক শিল্পী হাশেম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক শিল্পী আবদুস সাত্তার এবং চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডক্টর আজহারুল ইসলাম শেখসহ শিল্পী, শিক্ষক ও অতিথিরা।হাশেম খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৯৫৮ সালে পাকিস্তান শাসনের সময়েও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন লোকশিল্প মেলার আয়োজন করেছিলেন ঢাকা আর্ট কলেজে।

সংস্কৃতি রক্ষায় স্লোগান না দিয়েও রাজনৈতিকভাবে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেন শিল্পী। আর সেই অভিজ্ঞতা জয়নুল আবেদিনের জীবনের বিভিন্ন পদক্ষেপ থেকে দেখে শেখার আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পয়লা বৈশাখের উৎসব, নবান্নের আয়োজন বা যেকোনো লোকশিল্প মেলাই বাঙালির সংস্কৃতি রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ছেলে প্রকৌশলী ময়নুল আবেদিন প্রথম আলোকে বলেন,‘আমার বাবার জন্মদিন ২৯ তারিখ। প্রতিবছর ওই দিনেই চারুকলায় উৎসব শুরু হয়। তবে এবার শুক্র ও শনিবার বন্ধের হিসাব করে এবং ৪ তারিখ থেকে অনুষদের পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে আয়োজনটি দুই দিন এগিয়ে আনা হয়েছে। তবে সম্মাননা প্রদান করা হবে উৎসবের শেষ দিন ২৯ তারিখে।’

এ বছর ‘জয়নুল সম্মাননা ২০২৪’ পাচ্ছেন শিল্পী অধ্যাপক মিজানুর রহিম ও শিল্পী অধ্যাপক রফিকুল আলম।

আজ সকালে চারুকলা অনুষদের মাঠে মেলার উদ্বোধনের পর অতিথিরা শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে চারুকলা অনুষদের ‘ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং’, ভাস্কর্য, গ্রাফিক ডিজাইন, প্রিন্টমেকিং, ওরিয়েন্টাল আর্ট, সিরামিকসহ সব বিভাগের শিক্ষকদের আঁকা ছবি ও কাজ।প্রতিবারের মতো এবারও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শিল্পীরা জয়নুল উৎসবে যোগ দিয়েছেন।

মেলায় পটচিত্র থেকে বায়োস্কোপ, মৃৎশিল্প থেকে বেতের কাজ, সেলাই কর্ম থেকে ধাতব শিল্পের জিনিসপত্র নিয়ে বসেছে পসরা। চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরাও নিজেদের হাতের কাজ নিয়ে মেলায় অংশ নিয়েছেন।

আজ থেকে আগামী রোববার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।