, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

দক্ষিণ কোরিয়াকে সংবেদনশীল দেশ হিসেবে দাবী যুক্তরাষ্ট্রের

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ১২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
  • ১৩৯৭ Time View

দক্ষিণ কোরিয়াকে ‘সংবেদনশীল’ দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে মার্কিন জ্বালানি বিভাগ (ডিওই)। শুক্রবার (১৪ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মার্কিন জ্বালানি বিভাগের একজন মুখপাত্র।
শনিবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য সামরিক আইন জারি করা এবং সিউলের সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির আলোচনার মধ্যে দেশটিকে এই তকমা দিল যুক্তরাষ্ট্র।

রয়টার্সের এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে ডিওই জানিয়েছে, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন দক্ষিণ কোরিয়াকে সংবেদনশীল দেশের সর্বনিম্ন স্তরে রেখেছিল। জানুয়ারিতে বাইডেনের ক্ষমতা ছাড়ার আগে আগে এটি করে বাইডেন প্রশাসন।
কিন্তু কেন এশীয় দেশটিকে তারা এই তালিকায় যুক্ত করেছে তার ব্যাখ্যা দেয়নি ডিওই। এছাড়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পদক্ষেপটি বাতিল করতে আগ্রহী কিনা তাও ইঙ্গিত দেয়া হয়নি। তবে, মুখপাত্র বলেছেন সিউল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন কোনো বিধিনিষেধের সম্মুখীন হবে না।

এদিকে সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই নামকরণ ১৫ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।

অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে এবং ওয়াশিংটনের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে।
ডিওই-এর ওয়েবসাইটে ২০১৭ সালে পোস্ট করা একটি নথি অনুসারে, সংবেদনশীল দেশের তালিকায় চীন, তাইওয়ান, ইসরাইল, রাশিয়া, ইরান এবং উত্তর কোরিয়াও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যেখানে তেহরান এবং পিয়ংইয়ংকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে।

এর আগে উত্তর কোরিয়ার পিয়ং ইয়ংয়ের অস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে আশঙ্কা এবং মার্কিন জোট নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে সিউল পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনে বাধ্য হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন।

ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ায় হঠাৎ করেই সামরিক আইন ঘোষণা করেন সেই সময়ের প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। এরপর ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে তা তুলে নেয়া হয়। তবে ছয় ঘণ্টার এই সামরিক আইন ঘোষণা জন্য ইউন এবং কিমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়।
১৫/০৩/২০২৫; সুরমা টিভি ২৪; সুমাইয়া।

Popular Post

দক্ষিণ কোরিয়াকে সংবেদনশীল দেশ হিসেবে দাবী যুক্তরাষ্ট্রের

Update Time : ১২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

দক্ষিণ কোরিয়াকে ‘সংবেদনশীল’ দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে মার্কিন জ্বালানি বিভাগ (ডিওই)। শুক্রবার (১৪ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মার্কিন জ্বালানি বিভাগের একজন মুখপাত্র।
শনিবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য সামরিক আইন জারি করা এবং সিউলের সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির আলোচনার মধ্যে দেশটিকে এই তকমা দিল যুক্তরাষ্ট্র।

রয়টার্সের এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে ডিওই জানিয়েছে, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন দক্ষিণ কোরিয়াকে সংবেদনশীল দেশের সর্বনিম্ন স্তরে রেখেছিল। জানুয়ারিতে বাইডেনের ক্ষমতা ছাড়ার আগে আগে এটি করে বাইডেন প্রশাসন।
কিন্তু কেন এশীয় দেশটিকে তারা এই তালিকায় যুক্ত করেছে তার ব্যাখ্যা দেয়নি ডিওই। এছাড়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পদক্ষেপটি বাতিল করতে আগ্রহী কিনা তাও ইঙ্গিত দেয়া হয়নি। তবে, মুখপাত্র বলেছেন সিউল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন কোনো বিধিনিষেধের সম্মুখীন হবে না।

এদিকে সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই নামকরণ ১৫ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।

অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে এবং ওয়াশিংটনের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে।
ডিওই-এর ওয়েবসাইটে ২০১৭ সালে পোস্ট করা একটি নথি অনুসারে, সংবেদনশীল দেশের তালিকায় চীন, তাইওয়ান, ইসরাইল, রাশিয়া, ইরান এবং উত্তর কোরিয়াও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যেখানে তেহরান এবং পিয়ংইয়ংকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে।

এর আগে উত্তর কোরিয়ার পিয়ং ইয়ংয়ের অস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে আশঙ্কা এবং মার্কিন জোট নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে সিউল পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনে বাধ্য হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন।

ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ায় হঠাৎ করেই সামরিক আইন ঘোষণা করেন সেই সময়ের প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। এরপর ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে তা তুলে নেয়া হয়। তবে ছয় ঘণ্টার এই সামরিক আইন ঘোষণা জন্য ইউন এবং কিমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়।
১৫/০৩/২০২৫; সুরমা টিভি ২৪; সুমাইয়া।