এবার ইউরোপের একাধিক দেশে মার্কিন দূতাবাস বন্ধের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী নিজেদের দূতাবাসগুলোতে কর্মীসংখ্যা কমানোর পরিকল্পনাও করছে দেশটি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। এদিকে কূটনৈতিক উপস্থিতি কমানো এবং ইউএসএআইডি ভেঙে দেয়ার কারণে বিশ্বব্যাপী মার্কিন প্রভাব দুর্বল হয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। অভিবাসী তাড়ানো ও বৈদেশিক সহায়তা বন্ধের পর ইউরোপে বেশ কয়েকটি দেশে দূতাবাস বন্ধের পরিকল্পনা গ্রহণ করে যুক্তরাষ্ট্র। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন মতে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে জার্মানির লাইপজিগ, হামবুর্গ ও ডুসেলডর্ফ, ফ্রান্সের বোর্দো ও স্টাসবুর্গ, ইতালির ফ্লোরেন্সসহ কয়েকটি ছোট শহরে দূতাবাস বন্ধ করা হতে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই এ খবর সামনে এলো। এদিকে বিশ্বব্যাপী কর্মী সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনাও করছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনেও পররাষ্ট্র দফতরের বেশ কয়েকটি ব্যুরো একীভূত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তালিকায় থাকতে পারে মানবাধিকার, শরণার্থী ও মানবপাচার রোধে কাজ করা প্রতিষ্ঠানও।
৮/০৩/২০২৫; সুরমা টিভি ২৪;সুমাইয়া।