সুরমা টিভি ২৪ – ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে জাসদের সহযোগী সংগঠন জাতীয় নারী জোট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আজ (৮ মার্চ ২০২৫) শনিবার দুপুর ২টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
নারী জোটের কেন্দ্রীয় নেত্রী সৈয়দা শামীমা সুলতানা হ্যাপির সভানেত্রীত্বে ও রাবেয়া আক্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ—সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম—সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ মোহসীন, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সাইফুজ্জামান বাদশা, জাতীয় যুব জোটের সভাপতি শরিফুল কবির স্বপন, জাতীয় আইনজীবী পরিষদের নেত্রী এড. শ্রাবনী গুহ জয়া, জাতীয় যুব জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ আক্তার শিল্পি, জাতীয় নারী জোট নেত্রী শেখ শাহনাজ পারভীন, শিরীন শিকদার, নার্গিস আক্তার নীলা, অধিকার কমীর্ হুরমত আলী প্রমূখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, এ বছর যখন নারী দিবস পালিত হচ্ছে তখন বাংলাদেশে নারীর প্রতি বিদ্বেষ, হিংসা, সহিংসতা, নির্যাতন, ধর্ষণ স্মরণকালের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। নারী স্বাধীনভাবে চলাচল ও পছন্দের পোশাক পরার জন্য রাস্তাঘাটে নিঘৃত হচ্ছে। সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো: নারীর প্রতি বিদ্বেষ, হিংসা, সহিংসতা, নির্যাতন, ধর্ষণের ঘটনার জন্য ভিক্টিম নারীকেই ধর্মের নামে দোষারোপ করছে ধর্মান্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক মোল্লারা। সরকার ও প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে নারীর প্রতি বিদ্বেষ, হিংসা, সহিংসতা, নির্যাতন, ধর্ষণের ঘটনাগুলি ঘটার পরও সরকার ও প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে, অপরাধীদের আশ্রয়—প্রশ্রয় দিচ্ছে।
অপরাধীদের গ্রেফতার করা হলে ধর্মান্ধ রাজনৈতিক শক্তি পুলিশের থানা ঘেরাও করে অপরাধীকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অশ্লীল উৎসব করছে। নারীর প্রতি বিদ্বেষ, হিংসা, সহিংসতা, নির্যাতন, ধর্ষনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাবানদের রাজনৈতিক ক্ষমতার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ ও অশ্লীল প্রদর্শনী চলছে। নারীর মানবাধিকার, নারীর স্বাধীনতা অস্বীকার, লংঘণের জঘন্য অশ্লীল উৎসব চলছে। বক্তারা বলেন, নারীর মানবাধিকার, নারীর স্বাধীনতা, নারী ও পুরুষের মধ্যে সকল ধরণের বৈষম্যের অবসান, সমকাজে নারী—পুরুষের সম মজুরী, কর্মক্ষেত্রে নারীর জন্য নিরাপত্তা ও শোভন কাজের অধিকার পিতা—মাতার সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার হিসাবে নারী ও পুরুষ সন্তানের সমঅধিকার, নারীর স্বাধীনভাবে নিরাপদে চলাচল ও যাতায়তের অধিকার, নারীর পছন্দের পোশাক পরার অধিকার, নারীর সন্তান ধারণসহ নিজেরে দেহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহনের স্বাধীনতা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ঘরে—বাইরে নারীর প্রতি সকল ধরণের বৈষম্য—সহিংসতার অবসান ঘটানোর সাথে রাজনীতি, রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রের সম্পর্ক ওতোপ্রোতভাবে যুক্ত। বক্তারা বলেন, নারী বিদ্বেষী ধর্মান্ধ রাজনৈতিক শক্তিকে মোকাবেলা করা এবং দেশে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জবাবদিহিতামূলক সাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা হলে দেশে বর্তমানে নারীর জন্য চলমান আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ, নারীর জন্য ভয়ংকর বর্বরতা ও অসভ্যতার যুগের অবসানের পথে বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করতে পারবে।
প্রকাশঃ ০৮|০৩|২০২৫ইং || সুরমা টিভি ২৪