সিঙ্গাপুরের জনশক্তিমন্ত্রী ড. তান সি লেংয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। শুক্রবার (৭ মার্চ) সিঙ্গাপুরে তাদের মধ্যে এই সাক্ষাৎ হয়।
সিঙ্গাপুর সরকার অভিবাসী শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে যে পেশাদারিত্বমূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে, তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন লুৎফে সিদ্দিকী। অন্যদিকে সিঙ্গাপুরে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য নির্মাণ খাতে বাংলাদেশিসহ অভিবাসী শ্রমিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ড. তান। সম্ভাব্য বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও উন্নত করতে, খরচ কমাতে এবং স্বচ্ছতা বাড়াতে দুই দেশ কীভাবে একসাথে কাজ করতে পারে সে বিষয়েও আলোচনা করেন তারা।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত ড. তানকে দুই দেশের মধ্যে চলমান মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) আলোচনার অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। সেই সঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেন, এর ফলে কাজের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে যেখানে বাংলাদেশিরা অবদান রাখতে পারে। এর আগে বিশেষ দূত সিদ্দিকী সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনে আইপিএর জন্য একটি নতুন অনলাইন অ্যাটেস্টেশন পরিষেবা উদ্বোধন করেন। আইপিএ বা ইন-প্রিন্সিপাল অ্যাপ্রুভালস, সিঙ্গাপুর সরকার কর্তৃক প্রদত্ত প্রাথমিক ওয়ার্ক পারমিট। নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ মিশনের একজন দক্ষ কর্মকর্তার মাধ্যমে আইপিএগুলো দেখা ও অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।
সম্ভাব্য নিয়োগকর্তা ও তাদের এজেন্টরা দীর্ঘদিন ধরে এই প্রক্রিয়ার জন্য বাংলাদেশ মিশনে শারীরিকভাবে পরিদর্শনের প্রশাসনিক বোঝা নিয়ে অভিযোগ করে আসছিলেন। নতুন অনলাইন সমাধান চালু হওয়ার ফলে এই প্রক্রিয়াটি এখন সম্পূর্ণ অনলাইনে সম্পন্ন করা যাবে। সিদ্দিকী সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি কর্মীদের কিছু প্রতিনিধির সাথে এক বৈঠকে তাদের অভিযোগগুলো সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনারসহ সংশ্লিষ্টরা জানান, কয়েক বছর ধরে স্থগিত থাকা বিষয়টি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সমাধান করা হয়েছে। বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল উভয়েই অভিবাসী কর্মীদের কল্যাণকে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।’
০৭/০৩/২০২৫; সুরমা টিভি ২৪; সুমাইয়া।