প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিভাগের কার্যক্রমের সমালোচনা করে আসছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার বিভাগটি একেবারেই বিলুপ্ত করতে চাইছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি শিগগিরই একটি নির্বাহী আদেশ জারি করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
দ্বিতীয়বার ক্ষমতা গ্রহণের পর সরকার ও প্রশাসনের ব্যাপক সংস্কার শুরু করেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ব্যাপক বিতর্ক ও বিরোধীদের কঠোর সমালোচনা সত্ত্বেও পিছু হটছেন না। এবার পুরো শিক্ষা বিভাগই ভেঙে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি চান তার নতুন শিক্ষামন্ত্রী লিন্ডা ম্যাকমাহন ‘নিজেই নিজেকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করবেন’ অর্থাৎ পদত্যাগ করবেন এবং শিক্ষা বিভাগ বন্ধ করে দেবেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার দিনই ট্রাম্প তার দীর্ঘদিনের বন্ধু ও রেসলিং আয়োজক সংস্থা ডব্লিউডব্লিউইর সহ-প্রতিষ্ঠাতা লিন্ডা ম্যাকমাহনকে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেন। তখনই ধারণা করা হচ্ছিল, শিক্ষা বিভাগ বন্ধ করার দায়িত্ব লিন্ডার ওপরই পড়বে। গত সোমবার (৩ মার্চ) লিন্ডা শিক্ষা দফতরের প্রধান হিসেবে সিনেটের অনুমোদন পান। লিন্ডা এর আগে কানেকটিকাট রাজ্যের শিক্ষাবোর্ডে এক বছর কাজ করেছেন। পাশাপাশি দীর্ঘসময় ধরে স্যাকরেড হার্ট ইউনিভার্সিটির একজন ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মনোনয়ন নিশ্চিতকরণ ভোটের আগে বর্তমানে সিনেটের মাইনরিটি তথা সংখ্যালঘু দলের নেতা চাক শুমার বলেন, ‘আমেরিকানরা সরকারি শিক্ষাব্যবস্থায় বিশ্বাস করে। তারা শিক্ষা বিভাগকে বন্ধ হয়ে যেতে দেখতে চায় না। যদি ট্রাম্প প্রশাসন শিক্ষায় কাটছাঁট চালিয়ে যায়, তাহলে স্কুলগুলো বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন হারাবে।’ তবে ট্রাম্প তার পরিকল্পনায় অটল। ম্যাকমাহনের মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পরই তিনি শিক্ষা বিভাগ বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, তিনি চান ম্যাকমাহন ‘নিজেকেই নিজে চাকুরিচ্যুত করুক’। ট্রাম্পের কথা মতো এখন ম্যাকমাহনকে শিক্ষা বিভাগ বন্ধ করে দিতে হবে। ১৯৭৯ সালে শিক্ষা বিভাগ গঠন করে কংগ্রেস। এই বিভাগের প্রাথমিক দায়িত্ব হলো দেশটির স্কুল-কলেজে অর্থ বিতরণ করা। প্রতিবছর কে-১২ স্কুলগুলোতে এই বিভাগ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাঠায় এবং ১.৬ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যমানের ফেডারেল শিক্ষার্থী ঋণ প্রক্রিয়ার দেখভাল করে।