অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
মহাসড়কে ডাকাতি প্রতিরোধে ব্যর্থতার দায়ে চৌদ্দগ্রামের মিয়ার বাজার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপারের পদে থাকা অতিরিক্ত ডিআইজি খাইরুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, ‘মহাসড়কে চৌদ্দগ্রাম অংশে সাম্প্রতিক সময়ে ডাকাতির ঘটনা বেড়ে গেছে। ডাকাত দলকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। পাশাপাশি মহাসড়কে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হচ্ছে। সর্বশেষ এসব ঘটনায় আজ বিকেলে মিয়ার বাজার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম অংশে গত দুই মাসে চারটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। গত বৃহস্পতিবার ভোরে মহাসড়কের ফাল্গুনকরা মাজার এলাকায় কুয়েতপ্রবাসী নাইমুল ইসলামের গাড়িতে ডাকাতি হয়। ডাকাত দল ওই প্রবাসীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সর্বস্ব লুটে নেয়। আজ ভোরে একই স্থানেই মালয়েশিয়াপ্রবাসী বেলাল হোসেনকে বহনকারী গাড়ি ডাকাতের কবলে পড়ে। ওই এলাকা চৌদ্দগ্রাম থানা থেকে মাত্র ৫০০ গজ দূরে।
এর আগে ১৫ জানুয়ারি মহাসড়কের মিরশ্বানী এলাকায় ৩০০ বস্তা চালভর্তি ট্রাকে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া গত ৮ ফেব্রুয়ারি মহাসড়কের পাশে অবস্থিত মিয়া বাজার মসজিদ মার্কেটে প্রীতি জুয়েলার্স নামে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাত দল গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। লুট হয় ২৫ ভরি সোনা। ডাকাতদের গুলিতে আহত হন মোশারফ হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী। এসব ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশের ব্যর্থতার অভিযোগে ওসি মো. জসিম উদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। জসিম উদ্দিন প্রায় দুই মাস আগে ওই থানায় যোগদান করেছিলেন।
প্রত্যাহার হওয়ার আগে আজ দুপুরে ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে শুক্রবার সারা রাত আমাদের একাধিক টিম মহাসড়কে ছিল। চৌদ্দগ্রাম থানা-পুলিশ এবং আমাদের হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি স্যার নিজেও টিম নিয়ে হাইওয়েতে ছিলেন। এরপরও আজ ভোরে এক ফাঁকে প্রবাসীর গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। হাইওয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালনে কোনো অবহেলা করেনি।’