, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উত্তরখণ্ডের ভয়াবহ তুষারধস

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ০২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৩৯৫ Time View

ভারতের উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় ভয়াবহ তুষারধসের ঘটনার শিকার হয়েছেন ৫৭ জন শ্রমিক। এ ঘটনায় ১৬ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও ৪১ জন সীমান্ত সড়ক সংস্থার (বিআরও) শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথ মন্দির থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে সীমান্তবর্তী মানা গ্রামের কাছে এই ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়েই উদ্ধারকাজ শুরু করে জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। একই সঙ্গে উদ্ধারকাজে যোগ ‍দিয়েছেন ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ, বর্ডার রোডস অরগাইজেশনের (বিআরও) সদস্যেরা। বিআরওর এক ইঞ্জিনিয়ার সিআর মীনা সংবাদ সংস্থা এনআইএকে বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে বিআরওর একটি ক্যাম্পের কাছে। ঘটনার পরই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। তিন থেকে চারটি অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল হওয়ায় উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে।

উত্তরাখণ্ড পুলিশের মহাপরিচালক দীপম শেঠ জানান, দুর্ঘটনার সময় ওই স্থানে ৫৭ জন শ্রমিক অবস্থান করেছিলেন। তিনি জানান, গত দুই ঘণ্টা ধরে উদ্ধার কাজ চলছে। তবে প্রতিকূল আবহাওয়া চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রবল তুষারপাত ও ঝোড়ো বাতাসের কারণে রাস্তা সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। আমরা বরফ কাটার যন্ত্র ব্যবহার করে রাস্তা পরিষ্কার করার চেষ্টা করছি। চামোলির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সন্দীপ তিওয়ারি বলেন, ‘ভারি বৃষ্টি ও তুষারপাতের কারণে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না, ফলে উদ্ধার অভিযানে বেগ পেতে হচ্ছে।’

২৮/০২/২০২৫; সুরমা টিভি ২৪; সুমাইয়া।

উত্তরখণ্ডের ভয়াবহ তুষারধস

Update Time : ০২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভারতের উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় ভয়াবহ তুষারধসের ঘটনার শিকার হয়েছেন ৫৭ জন শ্রমিক। এ ঘটনায় ১৬ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও ৪১ জন সীমান্ত সড়ক সংস্থার (বিআরও) শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথ মন্দির থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে সীমান্তবর্তী মানা গ্রামের কাছে এই ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়েই উদ্ধারকাজ শুরু করে জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। একই সঙ্গে উদ্ধারকাজে যোগ ‍দিয়েছেন ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ, বর্ডার রোডস অরগাইজেশনের (বিআরও) সদস্যেরা। বিআরওর এক ইঞ্জিনিয়ার সিআর মীনা সংবাদ সংস্থা এনআইএকে বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে বিআরওর একটি ক্যাম্পের কাছে। ঘটনার পরই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। তিন থেকে চারটি অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল হওয়ায় উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে।

উত্তরাখণ্ড পুলিশের মহাপরিচালক দীপম শেঠ জানান, দুর্ঘটনার সময় ওই স্থানে ৫৭ জন শ্রমিক অবস্থান করেছিলেন। তিনি জানান, গত দুই ঘণ্টা ধরে উদ্ধার কাজ চলছে। তবে প্রতিকূল আবহাওয়া চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রবল তুষারপাত ও ঝোড়ো বাতাসের কারণে রাস্তা সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। আমরা বরফ কাটার যন্ত্র ব্যবহার করে রাস্তা পরিষ্কার করার চেষ্টা করছি। চামোলির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সন্দীপ তিওয়ারি বলেন, ‘ভারি বৃষ্টি ও তুষারপাতের কারণে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না, ফলে উদ্ধার অভিযানে বেগ পেতে হচ্ছে।’

২৮/০২/২০২৫; সুরমা টিভি ২৪; সুমাইয়া।