অধিকৃত পশ্চিম তীরে আবারও ট্যাঙ্ক মোতায়েন করেছে ইসরাইল। এছাড়া সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলেছে নেতানিয়াহুর বাহিনী। যাতে ওই এলাকার শরণার্থী শিবিরে থাকা ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে তারা লড়াই করতে পারে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এই ঘোষণা দেয় ইসরাইল।
গাজায় ১৫ মাস ধরে চলেছে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ। এরপর যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর মাত্র একদিন পর থেকেই আবারও ইসরাইল অভিযান শুরু করে।
তখন থেকে উত্তর পশ্চিম তীরের কমপক্ষে ৪০,০০০ ফিলিস্তিনি জেনিন এবং নিকটবর্তী শহর তুলকারেম থেকে তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে চলে গেছে।
জেনিন পৌরসভার মুখপাত্র বশির মাতাহেন বলেন, জেনিন জাবালিয়ায় যা ঘটেছিল তার পুনরাবৃত্তি। উত্তর গাজার শরণার্থী শিবিরের কথা উল্লেখ করে এই কথা বলেন তিনি। যা কয়েক সপ্তাহের তীব্র লড়াইয়ের পর ইসরাইলি সেনাবাহিনী ধ্বংস করে দিয়েছিল। এখন শরণার্থী শিবিরটি বসবাসের অযোগ্য।তিনি বলেন, এখন জেনিন ক্যাম্পে কমপক্ষে ১২টি বুলডোজার ঘরবাড়ি এবং অবকাঠামো ভেঙে ফেলার কাজ করছে।বশির আরও বলেন, সেনাবাহিনীর প্রকৌশলী দলগুলোকে দেখা যাচ্ছে তারা দীর্ঘমেয়াদে অবস্থানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সেখানে। প্রায় এক একর আয়তনের একটি বিশেষ এলাকায় পানির ট্যাঙ্ক এবং জেনারেটর নিয়ে এসেছে। এ বিষয়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানায়নি।
তবে রোববার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কার্টজ সৈন্যদের সেখানে ‘অনেকদিন থাকার জন্য’ প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। বলেছেন, ‘আগামী বছরের জন্য’ শরণার্থী শিবিরগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে এবং বাসিন্দাদের সেখানে ফিরতে দেয়া হবে না।উত্তর পশ্চিম তীরে ইসরাইলের মাসব্যাপী এই অভিযানটি সবচেয়ে বড় অভিযানগুলোর মধ্যে একটি। যেখানে ড্রোন, হেলিকপ্টার এবং কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো ভারী যুদ্ধ ট্যাঙ্ক নিয়ে ইসরাইলের সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি ব্রিগেড অংশ নিয়েছে। এদিকে এই অভিযান শুরু করে ইসরাইল বলেছে, তাদের উদ্দেশ্য হামাস এবং ইসলামিক জিহাদসহ ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোকে মোকাবিলা করা।
২৫/০২/২/২০২৫; সুরমা টিভি ২৪; সুমাইয়া।