জার্মানিতে আসন্ন নির্বাচনের আগে স্পষ্ট হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে উদারপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর জনপ্রিয়তা থাকলেও অনুন্নত পূর্বাঞ্চলে এগিয়ে ডানপন্থীরা। বিভিন্ন অঞ্চলে উন্নয়নে বৈষম্যের কারণে বর্তমান প্রশাসনের গ্রহণযোগ্যতা কমেছে। এদিকে চ্যান্সেলর পদপ্রার্থীসহ জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে অনলাইনে মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার রিরুদ্ধে।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে জার্মানিতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও জোটের অন্য শরিক গ্রিন দলের মন্ত্রীদের সাথে নিয়ে এই মেয়াদে কেবিনেটে শেষ বারের মত বসলেন চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ। শেষ মুহূর্তেও দেশ ও দেশের জনগণের প্রতি নিজেদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানালেন তিনি।নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই অঞ্চলভেদে সামগ্রিক উন্নয়নে বৈষম্যের চিত্র স্পষ্ট হচ্ছে। অঙ্গরাজ্য ব্রান্ডেনবুর্গ, জাক্সেন, থুইরিঙ্গেনসহ অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরে পুষে রাখা তাদের ক্ষোভ ও দুঃখের কথা।
ইয়র্গ ডাউবনার নামে এক জার্মান বলেন, দেখুন আমি এমন এক এলাকা থেকে কথা বলছি যেখানে বিগত বছরগুলোতে একেবারেই উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। চাকরির বাজারও খুবই খারাপ। চাকরি হলেও বেতন খুবই কম। এদিকে আমাদের অঞ্চলের পাশেই পোল্যান্ড। ওখানে অর্থনৈতিক অবস্থা অন্যরকম। সবমিলিয়ে আমাদের এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা বাড়ছেই। বলতে পারেন আমরা বৈষম্যের শিকার।
সান্ড্রো বার্টেল নামে আরেকজন বলেন, একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন, সবদিকে সবকিছুর দাম বেড়েই চলেছে কিন্তু এই অঞ্চলে আমাদের কর্মের দাম বাড়েনি একেবারেই। গোইরলিট্জ এর মত জায়গায় থেকে কোনো ছুটি কাটাতে পর্যন্ত যেতে পারি না। বউ বাচ্চার আবদার পূরণ করতে পারি না।জোহানেস হিলিয়ে নামে আরেক নাগরিক বলেন, এই পূর্ব জার্মানি নিয়ে বছরের পর বছর ধরে রাজনীতিকরা খালি প্রত্যাশার বুলি আওড়েছেন, কাজের কাজ কিছুই করেননি। লাখো মানুষ কর্মসংস্থানহীন। অথচ পশ্চিম জার্মানির উন্নয়নের তুলনায় পূর্ব জার্মানিতে কিছুই হয়নি। আর এই সুযোগে চরম রক্ষণশীল ডানপন্থী রাজনৈতিক দল যেমন এএফডি নির্বাচনে বাজিমাত করার সুযোগ পাবে।
২০/০২/২০২৫; সুরমা টিভি ২৪; সুমাইয়া।