তিন বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে লক্ষ্যে সৌদি আরবে খুব শিগগিরই আলোচনায় বসবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সিনিয়র কর্মকর্তারা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর বরাতে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
মার্কিন আইনপ্রণেতা মাইকেল ম্যাককল জানিয়েছেন, বৈঠকে যোগ দিতে একটি মার্কিন প্রতিনিধি দল শিগগিরই সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হবেন। দলে থাকছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজ ও হোয়াইট হাউসের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ। ইউক্রেনে মার্কিন বিশেষ দূত কিথ কেলগ বলেছেন, ওয়াশিংটন, মস্কো ও কিয়েভ আলোচনায় অংশ নেবে। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের অবকাশে তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মধ্যে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হচ্ছে যাতে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয় এবং এই সংঘাতের অবসান ঘটে।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, সৌদি আরবে অনুষ্ঠেয় আলোচনায় ইউক্রেনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এবং কৌশলগত অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা না করে কিয়েভ রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় যাবে না।
জেলেনস্কি আরও জানান, তিনি খুব শিগগিরই সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও তুরস্ক সফর করবেন। তবে সময়কাল সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি তিনি। এই সফরে রুশ বা মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের এ নেতা। এদিকে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক ফোনালাপে ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তারা নিয়মিত যোগাযোগের বিষয়ে একমত হন এবং পুতিন-ট্রাম্পের বৈঠক আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে সম্মত হন।
ইউক্রেন নিয়ে ট্রাম্পের এই উদ্যোগে ওয়াশিংটনের ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। শনিবার ট্রাম্পের ইউক্রেন বিষয়ক প্রতিনিধি জানান, ইউরোপের অন্য কোনো দেশকে সৌদি আরবের আলোচনায় ডাকা হবে না। এ কারণে রীতিমতো ক্ষোভে ফুসছেন ইউরোপীয় নেতারা। ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে আগামী সপ্তাহে প্যারিসে এক জরুরি সম্মেলন ডেকেছেন তারা। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৬/০২/২০২৫; সুরমা টিভি ২৪; সুমাইয়া।