আগামী সপ্তাহেই ইউক্রেন যুদ্ধের তিন বছর হতে যাচ্ছে। এই যুদ্ধে সামরিক-বেসামরকি মিলিয়ে উভয় পক্ষের লাখ লাখ নাগরিক হতাহত হয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই সংঘাতের শুরু থেকেই ইউক্রেনকে সামরিক ও রাজনৈতিক সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষমতায় আসার পর সংঘাতের অব্সানে কাজ শুরু করেছেন ট্রাম্প। সেই লক্ষ্যে গত বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এরপর উভয় পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইউক্রেন নিয়ে শিগগিরই আলোচনায় বসছেন এ দুই নেতা। ইউক্রেনও রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসবে বলেও প্রত্যয় ব্যক্তি করেছেন ট্রাম্প। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে সমালোচনা শুরু করেছেন ইউরোপীয় নেতারা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছাড়া রাশিয়ার আক্রমণের সামনে ইউক্রেনের টিকে থাকার সুযোগ কম। যুদ্ধের অবসানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনার ঘোষণা দেয়ার প্রেক্ষিতে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন তিনি।
পুতিনের সাথে ট্রাম্পের ফোনালাপের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট উদ্বিগ্ন যে, ওয়াশিংটন আর কিয়েভের কৌশলগত অংশীদার নাও থাকতে পারে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এনবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই উদ্বেগই প্রকাশ করেছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা ছাড়া ইউক্রেন আবারও রাশিয়ার আক্রমণের ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘রাশিয়ার আক্রমণের সামনে ইউক্রেনের টিকে থাকা সম্ভবত এটা খুবই, খুবই, খুবই কঠিন হবে। এবং অবশ্যই, সব কঠিন পরিস্থিতিতেই একটি সম্ভাবনা থাকে। তবে আমাদের সম্ভাবনা কম। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছাড়া আমাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও দাবি করেছেন, পুতিন যুদ্ধ শেষ করতে চান না বরং তিনি কেবল একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চান, যা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সুযোগ তৈরি করবে এবং রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে পুনর্গঠনের সময় দেবে।
১৬/০২/২০২৫; সুরমা টিভি ২৪; সুমাইয়া।