অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কর্মসূচির নাম লামা এআই। লামা এআইয়ের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইন ভাঙার অভিযোগ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, লামা এআইকে প্রশিক্ষণের সময় ৮২ টেরাবাইট বইপত্র বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করে পাইরেসির অভিযোগ করা হচ্ছে। এ জন্য মেটার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মেটা এআই মডেলকে প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন অনলাইন লাইব্রেরি থেকে পাইরেটেড বই ব্যবহার করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। মেটা টরেন্টের মাধ্যমে প্রায় ৮১ দশমিক ৭ টেরাবাইট ডেটা ডাউনলোড করেছে বলে মামলার নথিপথে দেখা যায়। কপিরাইট আইন এড়িয়ে চলার জন্য মেটা নিজের সম্পৃক্ততা গোপন করেছে বলে জানা গেছে।
একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মেটা এআই মডেলের প্রশিক্ষণের জন্য বেআইনিভাবে পাইরেটেড বই ব্যবহার করার অভিযোগে ক্লাস অ্যাকশন মামলার মুখোমুখি হবে। মেটা টরেন্টের মাধ্যমে অ্যানা’স আর্কাইভ, জেড-লাইব্রেরি ও লিবজেনের মতো অনলাইন লাইব্রেরি থেকে বিভিন্ন ডেটা ডাউনলোড করে ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগে বলা হচ্ছে।
এ–সংক্রান্ত মেটার কর্মীদের অভ্যন্তরীণ বেশ কিছু বার্তা প্রকাশ পেয়েছে। মেটার কর্মীরা পাইরেসি করা ডেটা ব্যবহার করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মেটার এক সিনিয়র এআই গবেষক ২০২২ সালের অক্টোবরে নৈতিকতার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন বলে জানা গেছে। সেই কর্মীর ভাষ্যে, ‘আমি মনে করি না আমাদের পাইরেসি করা বিষয় ব্যবহার করা উচিত। অন্য একজন কর্মচারী তখন জানান, সাইহাব আর লিবজেনের মতো প্ল্যাটফর্ম মূলত পাইরেসি বস্তুর আধার।’
এসব উদ্বেগ থাকার পরেও ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু করে মেটা। মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ নিজেই নাকি একটি বৈঠকে এ নিয়ে কথা বলে কাজ শুরুর জন্য বলেন।
সূত্র: ইকোনমিক টাইমস