, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিএনএ পরীক্ষায় গণ–অভ্যুত্থানে নিহত একজনের পরিচয় মিলেছে

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ০৬:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৩৯৮ Time View


অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
ডিএনএ পরীক্ষার (প্রোফাইলিং) মাধ্যমে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁর নাম মো. হাসান (১৯)। তিনি কাপ্তানবাজারে ইলেকট্রনিক পণ্যসামগ্রীর একটি দোকানের কর্মচারী ছিলেন।

যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক মোরশেদ আলম বলেন, নিহত তরুণকে নিজেদের সন্তান বলে দাবি করেছিল একটি পরিবার। পরে তাদের কাছ থেকে ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। আজ মরদেহের ডিএনএর সঙ্গে এর মিল পাওয়া যায়। এতে এই তরুণের নাম হাসান বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময়ে নিহত অজ্ঞাতনামা সাত ব্যক্তির মরদেহ মর্গে রয়েছে। তাঁদের একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকি এক নারীসহ অন্যদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, জুলাই আন্দোলনের সময় থেকে নিখোঁজ স্বজনের খোঁজে দুই পরিবার এসেছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে। এর মধ্যে হাসানের পরিবার ১২ জানুয়ারি একটি মরদেহ তাদের পরিবারের সদস্যের বলে দাবি করেছিল। পরদিন তাঁর মা–বাবার ডিএনএর নমুনা নেওয়া হয়। সেই নমুনা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) পাঠানো হয়েছিল।

মর্গ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসানের পরিবার মরদেহ নেওয়ার জন্য আইনি প্রক্রিয়া শেষ করেছে। আগামীকাল মরদেহ মর্গ থেকে নেওয়া হবে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালিদ মুনসুর জানান, নিহত হাসানের মরদেহটি যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। বাকি ছয়টি মরদেহের মধ্যে একটি যাত্রাবাড়ী থানা–পুলিশ তদারক করছে, অন্য পাঁচটি মরদেহের পরিচয় শনাক্তে শাহবাগ থানা–পুলিশ কাজ করছে।

পরিচয় শনাক্ত হওয়া মো. হাসানের চাচা নুরে আলম জানিয়েছেন, ‘হাসানকে ৫ আগস্ট বিকেল থেকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে আমরা ফেসবুকে দেখি, একটি ছেলে পায়ে বিদ্যুতের তার প্যাঁচানো অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছিল। তার মুখে হালকা দাড়ি ও পরনে পায়জামা-পাঞ্জাবি ছিল। তখন মর্গে এসে মরদেহ দেখে মনে হয়েছিল, সে–ই আমাদের হাসান। আজ তা–ই হলো।’

পারিবারিক সূত্র জানায়, ভোলা সদর উপজেলার বাগচির গ্রামের দিনমজুর মনির হোসেন ও মা গোলেনুর বেগমের ছেলে মো. হাসান। তিনি যাত্রাবাড়ীর সুতি খালপাড় বালুর মাঠ এলাকায় থাকতেন। কাজ করতেন কাপ্তানবাজারে ইলেকট্রনিক পণ্যের একটি দোকানে। দুই ভাই, দুই বোনের মধ্যে হাসান ছিলেন সবার বড়।

আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাসানের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

তথ্যসূত্র : সংগৃহীত

ডিএনএ পরীক্ষায় গণ–অভ্যুত্থানে নিহত একজনের পরিচয় মিলেছে

Update Time : ০৬:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫


অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
ডিএনএ পরীক্ষার (প্রোফাইলিং) মাধ্যমে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁর নাম মো. হাসান (১৯)। তিনি কাপ্তানবাজারে ইলেকট্রনিক পণ্যসামগ্রীর একটি দোকানের কর্মচারী ছিলেন।

যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক মোরশেদ আলম বলেন, নিহত তরুণকে নিজেদের সন্তান বলে দাবি করেছিল একটি পরিবার। পরে তাদের কাছ থেকে ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। আজ মরদেহের ডিএনএর সঙ্গে এর মিল পাওয়া যায়। এতে এই তরুণের নাম হাসান বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময়ে নিহত অজ্ঞাতনামা সাত ব্যক্তির মরদেহ মর্গে রয়েছে। তাঁদের একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকি এক নারীসহ অন্যদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, জুলাই আন্দোলনের সময় থেকে নিখোঁজ স্বজনের খোঁজে দুই পরিবার এসেছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে। এর মধ্যে হাসানের পরিবার ১২ জানুয়ারি একটি মরদেহ তাদের পরিবারের সদস্যের বলে দাবি করেছিল। পরদিন তাঁর মা–বাবার ডিএনএর নমুনা নেওয়া হয়। সেই নমুনা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) পাঠানো হয়েছিল।

মর্গ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসানের পরিবার মরদেহ নেওয়ার জন্য আইনি প্রক্রিয়া শেষ করেছে। আগামীকাল মরদেহ মর্গ থেকে নেওয়া হবে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালিদ মুনসুর জানান, নিহত হাসানের মরদেহটি যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। বাকি ছয়টি মরদেহের মধ্যে একটি যাত্রাবাড়ী থানা–পুলিশ তদারক করছে, অন্য পাঁচটি মরদেহের পরিচয় শনাক্তে শাহবাগ থানা–পুলিশ কাজ করছে।

পরিচয় শনাক্ত হওয়া মো. হাসানের চাচা নুরে আলম জানিয়েছেন, ‘হাসানকে ৫ আগস্ট বিকেল থেকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে আমরা ফেসবুকে দেখি, একটি ছেলে পায়ে বিদ্যুতের তার প্যাঁচানো অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছিল। তার মুখে হালকা দাড়ি ও পরনে পায়জামা-পাঞ্জাবি ছিল। তখন মর্গে এসে মরদেহ দেখে মনে হয়েছিল, সে–ই আমাদের হাসান। আজ তা–ই হলো।’

পারিবারিক সূত্র জানায়, ভোলা সদর উপজেলার বাগচির গ্রামের দিনমজুর মনির হোসেন ও মা গোলেনুর বেগমের ছেলে মো. হাসান। তিনি যাত্রাবাড়ীর সুতি খালপাড় বালুর মাঠ এলাকায় থাকতেন। কাজ করতেন কাপ্তানবাজারে ইলেকট্রনিক পণ্যের একটি দোকানে। দুই ভাই, দুই বোনের মধ্যে হাসান ছিলেন সবার বড়।

আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাসানের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

তথ্যসূত্র : সংগৃহীত