অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
গাজীপুরে হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আবুল কাশেমের মৃত্যুর ঘটনায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে কফিন মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ৯টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কাশেমের জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর লাশের কফিন নিয়ে রাজু ভাস্কর্য হয়ে মিছিল নিয়ে শাহবাগ জড়ো হয় তারা।
এ সময় তাদের ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’; ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আমার ভাই কফিনে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

জানাজার আগে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে পরাজিত আওয়ামী লীগকে কোনোভাবেই বাংলাদেশে ফিরতে দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনা ভারতেই থাকুক আর যেখানেই থাকুক সকল শক্তি কাজে লাগিয়ে তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। যদি ফেয়ার ট্রায়াল হয় তাহলে এই ট্রায়ালেই শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা সম্ভব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আয়নাঘর উন্মোচিত হয়েছে। হাসিনা যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত জাতিসংঘ তা প্রকাশ করেছে। ৬ মাস পরও গণঅভ্যুত্থানের সৈনিককে আওয়ামী লীগের লোকেদের হাতে শহীদ হতে হয়। আমরা এখনও আইনপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারিনি। আওয়ামী লীগকে ৬ মাসেও নিষিদ্ধ করতে না পারা আমাদের কালেক্টিভ ফেইলিউর ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখছি আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে স্বাভাবিক করতে কালচারাল তৎপরতা শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগকে বৈধতা দিতে যারা কাজ করেছে তারা এখন চারপাশে কাজ করছে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানাই, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনগত প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কাশেমের লাশ সামনে রেখে আমরা শপথ নিচ্ছি আওয়ামী লীগকে আমরা নিষিদ্ধ করবোই।’
এরআগে কাশেমের মৃত্যুর ঘটনায় সারা দেশের প্রত্যেক জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামে শহীদ আবুল কাশেমের গায়েবানা জানাজা এবং আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে খাটিয়া মিছিল করার ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে মারধরের শিকার হন কাশেম খান। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়।
তথ্যসূত্র সংগৃহীত