, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রুহুল কবির রিজভী

রিজভী বলেন, বিএনপির উদারতায় রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে জামায়াত ।আর তারা করে মুনাফেকি।

  • SURMA TV 24
  • Update Time : ০৫:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৪০৩ Time View

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বিএনপির উদারতার কারণে এ দেশে জামায়াত রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিব জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু আমরা বারবার দেখেছি তারা একটি জিনিস করতে পারে সেটা হলো মুনাফেকি।’

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শহীদ অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহেদ মণ্ডলের স্মরণসভায় তাহেরপুর হাইস্কুল মাঠে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন। তাহেরপুর পৌর বিএনপি এই স্মরণসভার আয়োজন করে।

তিনি বলেন, ‘আমরা জামায়াতকে সমর্থন করি না। কিন্তু সব সময় এই দলটি মুনাফেকি করেছে। মুনাফেকি ছাড়া তারা কিছু করেনি। যে দল ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করেছে, হত্যা করেছে নির্বিচারে। জামায়াত বলে বসলো, তারা আওয়ামী লীগকে মাফ করে দেবে। আবু সাঈদ, মুগ্ধর রক্তকে কীভাবে মাফ করবেন?’

তিনি আরও বলেন, ‘যে অন্যায় করে তার চক্রে কোনোভাবে পড়ে যেতে হয়। শেখ হাসিনা মনে করেছিল খুন, গুম, হামলা-মামলা দিয়ে পার পেয়ে যাবে। কিন্তু তার আশ্রয় এখন হয়েছে ভারতে।’

রিজভী বলেন, ‘ভারত এক ভয়ংকর উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশকে পরাজিত করার জন্য হাসিনাকে সমর্থন করেছে, এখনও করছে। ভারত তাকে আশ্রয় দিয়েছে দিক। কিন্তু শেখ হাসিনা যে মাঝেমধ্যে বক্তব্য রাখছে, এটা কি দিতে পারে? শেখ হাসিনার পাসপোর্ট নেই, তার ভিসা নেই। ভিসাহীন একটি ব্যক্তি অপরাধী, সেই অপরাধী ব্যক্তি কী করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত থেকে কথা বলতে পারে? অথচ ভারত তাকে সেই প্রশ্রয় দিচ্ছে। এখন ভারতের যদি কোন ক্রিমিনালকে বাংলাদেশ আশ্রয় দেয়, আর এখান থেকে ভারতের বিরুদ্ধে কোন কর্মকাণ্ড করে ভারত কি তখন ছেড়ে কথা বলবে?’

তিনি বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে আন্দোলন করলাম এরশাদের বিরুদ্ধে। হাসিনাও প্রথমদিকে ছিলেন। তার পরে কাউকে কিছু না বলে হাসিনাও এরশাদের অধীনে নির্বাচনে চলে গেলেন। বেগম জিয়া বলেছিলেন, এরশাদের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবো না । আর হাসিনা এক লাফ দিয়ে বলেছিলেন, যারা যাবে তারা ডাক পাবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গিয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই যে ছাত্র-জনতার রক্তঝরা আন্দোলন। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আবু সাঈদ বুক চিতিয়ে বুলেট বরণ করে নিয়ে আমাদের আন্দোলনের যে জয় ঘোষণা করেছেন। তারই অনুপ্রেরণায় ঢাকায় আমরা দেখেছি মুগ্ধকে, আমরা দেখেছি আহারাফকে, আমরা দেখেছি একের পর এক শিশু বাচ্চারা নিজের আত্মদানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার মতো এক ভয়ংকর দানবকে বাংলাদেশ থেকে বিরাড়িত করতে। তার কয়েকদিন পর জামায়াত বলে বসলো, আমরা আওয়ামী লীগের সবকিছু মাফ করে দেবো।’

প্রশ্ন করে রিজভী বলেন, ‘এবার আপনি আবু সাঈদের রক্ত কীভাবে মাফ করবেন? আপনি মুগ্ধের রক্ত কীভাবে মাফ করবেন? আপনি আহারাফের রক্ত কীভাবে মাফ করবেন? আপনি বলে দিলেন।’

তাহেরপুর পৌরসভা বিএনপির সভাপতি সামসুর রহমান মিন্টুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা প্রমুখ।

তথ্যসূত্র : সংগৃহীত

স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রুহুল কবির রিজভী

রিজভী বলেন, বিএনপির উদারতায় রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে জামায়াত ।আর তারা করে মুনাফেকি।

Update Time : ০৫:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বিএনপির উদারতার কারণে এ দেশে জামায়াত রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিব জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু আমরা বারবার দেখেছি তারা একটি জিনিস করতে পারে সেটা হলো মুনাফেকি।’

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শহীদ অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহেদ মণ্ডলের স্মরণসভায় তাহেরপুর হাইস্কুল মাঠে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন। তাহেরপুর পৌর বিএনপি এই স্মরণসভার আয়োজন করে।

তিনি বলেন, ‘আমরা জামায়াতকে সমর্থন করি না। কিন্তু সব সময় এই দলটি মুনাফেকি করেছে। মুনাফেকি ছাড়া তারা কিছু করেনি। যে দল ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করেছে, হত্যা করেছে নির্বিচারে। জামায়াত বলে বসলো, তারা আওয়ামী লীগকে মাফ করে দেবে। আবু সাঈদ, মুগ্ধর রক্তকে কীভাবে মাফ করবেন?’

তিনি আরও বলেন, ‘যে অন্যায় করে তার চক্রে কোনোভাবে পড়ে যেতে হয়। শেখ হাসিনা মনে করেছিল খুন, গুম, হামলা-মামলা দিয়ে পার পেয়ে যাবে। কিন্তু তার আশ্রয় এখন হয়েছে ভারতে।’

রিজভী বলেন, ‘ভারত এক ভয়ংকর উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশকে পরাজিত করার জন্য হাসিনাকে সমর্থন করেছে, এখনও করছে। ভারত তাকে আশ্রয় দিয়েছে দিক। কিন্তু শেখ হাসিনা যে মাঝেমধ্যে বক্তব্য রাখছে, এটা কি দিতে পারে? শেখ হাসিনার পাসপোর্ট নেই, তার ভিসা নেই। ভিসাহীন একটি ব্যক্তি অপরাধী, সেই অপরাধী ব্যক্তি কী করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত থেকে কথা বলতে পারে? অথচ ভারত তাকে সেই প্রশ্রয় দিচ্ছে। এখন ভারতের যদি কোন ক্রিমিনালকে বাংলাদেশ আশ্রয় দেয়, আর এখান থেকে ভারতের বিরুদ্ধে কোন কর্মকাণ্ড করে ভারত কি তখন ছেড়ে কথা বলবে?’

তিনি বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে আন্দোলন করলাম এরশাদের বিরুদ্ধে। হাসিনাও প্রথমদিকে ছিলেন। তার পরে কাউকে কিছু না বলে হাসিনাও এরশাদের অধীনে নির্বাচনে চলে গেলেন। বেগম জিয়া বলেছিলেন, এরশাদের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবো না । আর হাসিনা এক লাফ দিয়ে বলেছিলেন, যারা যাবে তারা ডাক পাবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গিয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই যে ছাত্র-জনতার রক্তঝরা আন্দোলন। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আবু সাঈদ বুক চিতিয়ে বুলেট বরণ করে নিয়ে আমাদের আন্দোলনের যে জয় ঘোষণা করেছেন। তারই অনুপ্রেরণায় ঢাকায় আমরা দেখেছি মুগ্ধকে, আমরা দেখেছি আহারাফকে, আমরা দেখেছি একের পর এক শিশু বাচ্চারা নিজের আত্মদানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার মতো এক ভয়ংকর দানবকে বাংলাদেশ থেকে বিরাড়িত করতে। তার কয়েকদিন পর জামায়াত বলে বসলো, আমরা আওয়ামী লীগের সবকিছু মাফ করে দেবো।’

প্রশ্ন করে রিজভী বলেন, ‘এবার আপনি আবু সাঈদের রক্ত কীভাবে মাফ করবেন? আপনি মুগ্ধের রক্ত কীভাবে মাফ করবেন? আপনি আহারাফের রক্ত কীভাবে মাফ করবেন? আপনি বলে দিলেন।’

তাহেরপুর পৌরসভা বিএনপির সভাপতি সামসুর রহমান মিন্টুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা প্রমুখ।

তথ্যসূত্র : সংগৃহীত