অনলাইন নিউজ ডেক্স :
দক্ষিণ আফ্রিকার একমাত্র আন্তর্জাতিক শিরোপাটা এসেছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই। তখন অবশ্য এই টুর্নামেন্টের নাম ছিল আইসিসি নকআউট ট্রফি। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত প্রথম আসরেই শিরোপা ঘরে তুলেছিল প্রোটিয়ারা। এই টুর্নামেন্ট ছাড়া ওয়ানডে বিশ্বকাপ বা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বরাবর হট ফেবারিট হিসেবে খেলতে গিয়ে খালি হাতে ফিরেছে তারা।
যে কারণে তাদের নামের সঙ্গে জুড়েছে ‘চোকার্স’ অপবাদও। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার কাছে বিশ্বকাপের চেয়েও কঠিন টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে তিনি কঠিন বলেছেন মূলত এর ফরম্যাটের কারণে।চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে কঠিন টুর্নামেন্ট মনে করছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা।দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা মনে করেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রতিনিয়ত পারফর্ম করার চাপ থাকে। কারণ এই টুর্নামেন্টে একটি ম্যাচ খারাপ খেললে আর ফলাফল হার এলেই বাদ পড়ার শঙ্কা থাকে। বিশ্বকাপের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পার্থক্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। আট দলের এই টুর্নামেন্টকে আসল বিশ্বকাপের চেয়েও চ্যালেঞ্জিং মনে করেন বাভুমা।চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফরম্যাট অনুযায়ী আট দলকে দুই গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। গ্রুপ পর্বের পরই নকআউট পর্ব অর্থাৎ সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল। যার মানে দাঁড়ায় এই টুর্নামেন্টে প্রতিটি ম্যাচই সমান গুরুত্বপূর্ণ।
যেকোনো একটা ম্যাচে পা হড়কালেই বিপদ। অন্যদিকে বিশ্বকাপে প্রতিটি দল লিগ পর্বে ৯টি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়। ফলে কোনো পর্যায়ে পা হড়কালেও ফিরে আসার সুযোগ থাকে।আইসিসি বিশ্বকাপের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পার্থক্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে এক মিডিয়া কনফারেন্সে বাভুমা বলেন, বিশ্বকাপে আপনার কাছে নিজেকে মূল্যায়ন করার এবং আরও ভালো করার সময় থাকে। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আপনি এই সময় পাবেন না, তবে আমরা এক এক ধাপ করে টুর্নামেন্টে সামনে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। নিঃসন্দেহে, এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আমরা সেখানেই নিজর রাখব, যেখানে থাকতে চাই। তবে ৫০ ওভার বিশ্বকাপের দিকে তাকালে ফরম্যাটটি দলগুলোর জন্য আরও চ্যালেঞ্জিং করে তোলে।২০২৩ সালে সবশেষ বিশ্বকাপে ইডেন গার্ডেনে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বাভুমার নেতৃত্বেই সেই টুর্নামেন্টে খেলেছিল প্রোটিয়ারা। এছাড়া গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও প্রোটিয়ারা ফাইনালে খেলে। ভারতের কাছে হেরে বিশ্বকাপের স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের।এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের বেশ কয়েকজন তারকা খেলোয়াড়কে পাচ্ছে না। আনরিখ নরকিয়া এবং জেরাল্ড কোয়েতজি টুর্নামেন্ট ছিটকে গেছেন। এই মুহূর্তে পাকিস্তানে তিন জাতির সিরিজ খেলছে প্রোটিয়ারা।
পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে অনুষ্ঠিত এই সিরিজেও দক্ষিণ আফ্রিকা বেশ কয়েকজন তারকাকে ছাড়াই খেলছে। এসএটি-২০ টুর্নামেন্ট চলায় ছয়জন অনভিষিক্ত খেলোয়াড় নিয়ে সিরিজটি খেলছে প্রোটিয়ারা। বাভুমা মনে করেন, ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফর্মারদের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের প্রমাণের এটা দারুণ একটা সুযোগ।
তিনি বলেন, এটা যারা দলে নিজেদের গুরুত্ব সম্পর্কে বার্তা দিতে চায় এমন খেলোয়াড়রা যারা ঘরোয়া ক্রিকেটে এবং টি-টোয়েন্টি লিগগুলোয় ভালো করছেন, তাদের জন্য দারুণ সুযোগ। এই তিন জাতি সিরিজটা আমাদের পাকিস্তানে মানিয়ে নেয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে এবং এই জ্ঞান বাকিদের সঙ্গে ভাগাভাগি করার এবং তরুণদের ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করার দারুণ সুযোগ।