বিভিন্ন দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপের ঝড়ের মধ্যেই হোয়াইট হাউসে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময়, যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ বাড়ানোর ইচ্ছা পোষণ করেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী ইশিবা।
হোয়াইট হাউসের দ্বিতীয় মেয়াদের শাসনামলেও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
জাপানি প্রতিষ্ঠান টয়োটা এবং ইসুজুর প্রসারের পরিকল্পনাও তুলে ধরেন তিনি। ট্রাম্প জানিয়েছেন বৈঠককালে, ২০২৭ সাল নাগাদ জাপানের সামরিক খাতে ব্যয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দেন ইশিবা।
তার দাবি, প্রথম মেয়াদের শাসনামলে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক সংঘাত বন্ধে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। এছাড়াও, কিছুদিনের মধ্যেই ইউক্রেন সফরে যাওয়া নিয়েও কথা বলেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে ঢোকার পর থেকেই নাটকীয় সব সিদ্ধান্ত এবং বিস্ফোরক মন্তব্য করে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একের পর এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর, শুল্ক আরোপের ঝড় এবং বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকছেন আলোচনায়।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের আগেই ওয়াশিংটন-কিয়েভ বৈঠক হওয়া জরুরি। বাইডেন প্রশাসনের ইউক্রেনকে দেয়া প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার সহায়তার বিনিময়ে ইউক্রেনের বিরল খনিজের অংশ চেয়েছেন ট্রাম্প। এ অবস্থায়, দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় ট্রাম্পের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন জেলেনস্কি। তার দাবি, এই যুদ্ধে তাদের সবচেয়ে বড় সাহায্য কর্তা হিসেবে কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই ইউক্রেন থেকে সবচেয়ে বেশি লাভ করার অধিকারও যুক্তরাষ্ট্রেরই রয়েছে।
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; সুরমা টিভি ২৪; সুমাইয়া।