অনলাইন নিউজ ডেক্স :
শৃঙ্খলাভঙ্গ করা নারী ফুটবলারদের ছুটিতে পাঠানোর সুপারিশ করে বাফুফে সভাপতি বরাবর প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বিশেষ তদন্ত কমিটি। রিপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্ব পেয়েছে নারী ফুটবলারদের সফলতা। তবে শৃঙ্খলার প্রশ্নে তা প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে না বলে জানিয়েছেন সিনিয়র সহ সভাপতি ইমরুল হাসান। সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন তাবিথ আউয়াল।গণমাধ্যমে কথা বলেছেন বাফুফে সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান। গেল কয়েক বছরে অর্জনের পরিপূর্ণ খাতার পুরোটাই লিখেছেন ঋতুপর্ণা-মনিকা চাকমারা। তাদের এই অর্জন অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। সেটা বিবেচনায় রেখেই রিপোর্ট তৈরি করেছে বাফুফের বিশেষ তদন্ত কমিটি। তবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে তাদের শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়টি। বাফুফে সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন,নারী ফুটবল দল কিন্তু আমাদেরকে অনেক সাফল্য এনে দিয়েছে। সেটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ-ই নেই। আমরা নারী ফুটবল দলের প্রতি কৃতজ্ঞ। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় শৃঙ্খলা। সেখানে সাফল্য কিংবা ব্যর্থতা প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে না সবকিছু যাচাই বাছাই করে বেশ লম্বা একটা প্রতিবেদনই তৈরি করেছে তদন্ত কমিটি। কঠিন সিদ্ধান্ত আসতে চলেছে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা নারী ফুটবলারদের বিরুদ্ধে। সূত্র বলছে বিদ্রোহ করার পুরো ১৮ জন না হলেও অন্তত পাঁচ থেকে ছয় ফুটবলারকে ছুটিতে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়েছে রিপোর্টে। এ বিষয়ে ইমরুল হাসান বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা কিছু সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি এবং কিছু কারণ খুঁজে পেয়েছি। সে কারণগুলো প্রতিকারে কী করণীয় এবং সেগুলোর পেছনের কারণসমূহ উল্লেখ করে আমরা আমাদের প্রতিবেদন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির দপ্তরে জমা দিয়েছি। সবদিক বিবেচনা করে, আবেগ যেমন ছিল, তাদের সাফল্য এবং নিয়মানুবর্তিতা, সবদিক বিবেচনায় ছিল। একই সঙ্গে বিবেচনায় আনা হয়েছে নারী উইং’র ভূমিকা। গেল সাফ থেকে চলা কোচ পিটার বাটলারের সঙ্গে এই ঝামেলা এখনো কেন জিইয়ে রাখা হয়েছে? এই প্রশ্নেরও উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে তদন্ত কমিটি। বল এখন সভাপতি তাবিথ আউয়ালের কোর্টে। তিনি এখন কী সিদ্ধান্ত নেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।