অনলাইন নিউজ ডেস্ক:
চারদিকে শিক্ষার্থীদের কোলাহল। পিঠার ঘ্রাণে মুখরিত পুরো চত্বর। কেউ গরম ‘তেল পিঠা’ মুখে দিচ্ছেন, কেউবা ‘গোলাপ’ পিঠা চেখে দেখছেন। সেই সঙ্গে খুনসুটি আর আড্ডা তো আছেই।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে আজ বৃহস্পতিবারের চিত্র ছিল এটি। দিনব্যাপী হরেক রকমের পিঠা নিয়ে এই উৎসবের আয়োজন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক জোট। তেল পিঠা, গোলাপ পিঠা,শামুক পিঠা, ঝাঁই পিঠা, চাঁদ পিঠাসহ বিচিত্র নামের পিঠার সমাহার হয়েছিল উৎসবে। সব মিলিয়ে ৪০ রকমের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসিয়েছিলেন বিক্রেতারা। সেই সঙ্গে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী খাবারও ছিল উৎসবের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
‘নতুন ধানে, নতুন প্রাণে; চলো মাতি পিঠার ঘ্রাণে’ স্লোগানে আজ সকাল ১০টায় এই উৎসবের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। উদ্বোধনীর এই অনুষ্ঠানে সহ–উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান ও সহ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনও উপস্থিত ছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা, অঙ্গন আবৃত্তি মঞ্চ ও লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠন এই উৎসবের আয়োজন করে। এর বাইরেও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘রঁদেভু’ ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ভিন্নষড়জ’ এতে অংশ নেয়।
উৎসবের আয়োজক ও আবৃত্তি মঞ্চের সভাপতি উম্মে সালমা বলেন, গ্রামবাংলার মানুষ ও পাহাড়িদের সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুলে ধরার জন্য তাঁরা এই উদ্যোগ নিয়েছেন। একই মত বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক আলী আকরামেরও। তিনি জানান, তাঁরা ৩৬ রকমের পিঠা তৈরি করেছেন। বন্ধুসভার ২০ জন বন্ধু এসব বানাতে নিরলস কাজ করেছেন। আঞ্চলিক সংস্কৃতি সবার মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার জন্যই এই আয়োজন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ভাগে ছিল জমজমাট সাংস্কৃতিক আয়োজন। বিকেল চারটায় এই আয়োজন শুরু হয়। চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। নাচ, আবৃত্তি, গান, নাটিকায় জমে ওঠা এই আসর উপভোগ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
তথ্যসূত্র: সংগৃহীত