অনলাইন নিউজ ডেক্স :
বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজিমকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে খুলনার ট্যাংকলরি শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এ সময় ট্যাংকলরিগুলোকে সড়কের পাশে লাইন করে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়
বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজিমকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে খুলনার ট্যাংকলরি শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এ সময় ট্যাংকলরিগুলোকে সড়কের পাশে লাইন করে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের এক শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও জামিনের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রমিকেরা। এতে খুলনার তিনটি ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ আছে এবং খুলনা ও ফরিদপুর অঞ্চলের ১৫ জেলায় তেলের সরবরাহ বন্ধ আছে। তবে গতকাল রোববারের মতো আজ সোমবার সড়ক অবরোধ না করায় যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
গতকাল দুপুরে খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজিমকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে খালিশপুর থানায় হস্তান্তর করে। গত বছরের ২১ আগস্ট খুলনা নগরের খালিশপুর থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা একটি মামলার আসামি তিনি। আজিমকে গ্রেপ্তারের পর কর্মবিরতি পালন করেন তিনটি ডিপোর শ্রমিকেরা। এর ফলে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায় এবং খুলনা ও ফরিদপুর অঞ্চলের ১৫ জেলায় তেলের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মীর মোকসেদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, আলী আজিমকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গতকাল থেকে ট্যাংকলরি শ্রমিকেরা তিনটি ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন এবং খুলনা বিভাগের ১০ ও বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলায় পরিবহন বন্ধ করে দেন। আজও পরিস্থিতি একই রকম রয়েছে। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় তাঁদের সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তাঁর জামিন না হলে শ্রমিকেরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবেন না।
গতকাল শ্রমিকেরা হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন শ্রমিক সমিতির নেতা মীর মোকসেদ। তিনি বলেন, আমাদের ওপর রোববার রাতে যৌথ বাহিনী হামলা করেছে। রাতে আমরা যখন শ্রমিকদের সড়কের অবরোধ তুলে নেওয়ার কথা বোঝাচ্ছিলাম এবং শ্রমিকেরাও ব্যারিকেড সরিয়ে নিচ্ছিলেন, তখনই আমাদের ওপর হামলা করা হয়। আমিও পিটুনির শিকার হয়েছি। জানি না কার প্ররোচনায় এটা হয়েছে। এ ঘটনায় শ্রমিকেরা ক্ষুব্ধ আছেন। আমরা এটারও বিচার চাই।