আগামী শুক্রবারের (৩১ জানুয়ারি) আগে আরও তিন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তাদের মধ্যে আরবেল ইয়াহুদও রয়েছে। যার মুক্তি না দেয়াকে কেন্দ্র করে লাখো গাজাবাসীকে উত্তর গাজায় প্রত্যাবর্তন আটকে দেয় ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকেই উত্তর গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের বাড়ি ফিরতে বাধা দেবে না ইসরাইল। রোববার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেসামরিক নাগরিক আরবেল ইয়েহুদ, সৈনিক আগাম বার্গার এবং আরেকজন জিম্মিকে হামাস মুক্তি দেবে। সোমবার সকাল থেকেই উত্তর গাজার বাসিন্দারা তাদের বাড়িতে ফিরতে পারবে।
ইসরাইল যুদ্ধবিরতির চুক্তির লঙ্ঘন সহ্য করবে না জানিয়ে নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমরা আমাদের সব জীবিত জিম্মি এবং মৃতদের ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ চালিয়ে যাব।’ এদিকে সোমবার ভোরে হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ে মুক্তি দেয়া হবে এমন ইসরাইলি জিম্মিদের তালিকা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোরে কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে শনিবার হামাস তাদের হাতে জিম্মি চার ইসরাইলি নারী সেনাকে মুক্তি দেয়। এর বিনিময়ে ২০০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দীকে মুক্তি দেয় ইসরাইল। তবে এরপর ইসরাইল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির বিরুদ্ধে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে। ইসরাইল বলছে, হামাসের হাতে জিম্মি বেসামরিক ইসরাইলি আরবেল ইয়াহুদের মুক্তির যে পরিকল্পনা, সেটি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত গাজার বাসিন্দাদের উত্তর দিকে যেতে দেয়া হবে না।
২৭/০১/২০২৫; সুরমা টিভি ২৪; সুমাইয়া।