দক্ষিণ লেবাননে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন এবং ৮০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। রোববার ( ২৬ জানুয়ারি) যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করার কথা থাকলেও তা মানেনি ইসরাইল। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি সেনাবাহিনী তাদের প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেও এবং হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের অপসারণের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেও বৈরুতের কিছু অংশে তারা অবস্থান করছে। রোববার সকালেও হাজার হাজার বাসিন্দা সীমান্তবর্তী শহর ও গ্রামগুলোতে ফিরে আসেন। যদিও লেবানন ও ইসরাইলি সেনাবাহিনী এবং জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা দেয়া হয় যে, এই অঞ্চলটি এখনও অনিরাপদ।
এদিকে ইসরাইল জানিয়েছে যে হিজবুল্লাহর সাথে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। এছাড়া লেবাননে তাদের কতজন সৈন্য রয়ে গেছে বা আরও কতদিন থাকবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরাইলি বাহিনীর দখল করে রাখা এলাকাগুলোতে বাসিন্দারা প্রবেশ করার চেষ্টার সময় তাদের ওপর হামলা চালায় তেল আবিব। ইসরাইলের গুলিতে লেবাননের একজন সৈন্য নিহত এবং অন্য একজন আহত হয়েছে বলেও জানায় দেশটি। অন্যদিকে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দাবি তারা দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় ‘সতর্কীকরণ গুলি’ চালিয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার এবং এলাকা থেকে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও অস্ত্র সরিয়ে নেয়ার কথা বলা হয়েছিল। একই সাথে, কয়েক দশক ধরে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা যেখানে প্রভাবশালী ছিল, সেখানে হাজার হাজার লেবাননী সেনা মোতায়েন করার কথা বলা হয়েছিল। গত নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি হয়েছিল যার অধীনে রোববার লেবানন থেকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করার কথা ছিল।
আলোচনার সাথে পরিচিত একজন পশ্চিমা কূটনৈতিক কর্মকর্তা, যিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ইসরাইল বলেছে যে দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ধ্বংস করতে তাদের আরও সময় প্রয়োজন এবং প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল ৩০ দিনের মেয়াদ বাড়ানো।
২৬/০১/২০২৫; সুরমা টিভি ২৪; সুমাইয়া।