বিশ্বজুড়ে সংঘাতের মধ্যেই গত বছর (২০২৪) রেকর্ড পরিমাণ যুদ্ধাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম রফতানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। টাকার হিসাবে ৩১ হাজার ৮শ ৭০ কোটি ডলারের সমরাস্ত্র রফতানি করেছে দেশটি। যা ২০২৩ সালের তুলনায় অন্তত ২৯ শতাংশ বেশি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন মতে, প্রতিরক্ষা জোরদারে মার্কিন মিত্রদের বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম ও যুদ্ধাস্ত্রের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ২০২৪ সালে সবচেয়ে বেশি সংঘাতের সাক্ষী হয়েছে বিশ্ববাসী। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলো। যদিও এসবের মধ্যে লাভবান হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু লাভবানই নয় গেল বছর সমরাস্ত্র রফতানিতে রেকর্ড করেছে দেশটি। রয়টার্স জানায়, গত বছর বিশ্বে ৩১ হাজার ৮৭০ কোটি ডলারের যুদ্ধাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম রফতানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে কোনো বছর এত বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম রফতানি করেনি দেশটি। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম রফতানির হার বেড়েছে ২৯ শতাংশ।
রয়টার্স আরো জানায়, লকহিড মার্টিন, জেনারেল ডায়নামিক্স ও নর্থরোপ গ্রুমান এই ৩ মার্কিন কোম্পানির যুদ্ধাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে। বৈশ্বিক পুঁজিবাজারে অস্থিরতা সত্ত্বেও এই ৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম বছরজুড়েই ছিল চড়া।
বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৪ সালে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম রফতানি বৃদ্ধির প্রধান কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই সংঘাতের জেরে ইউরোপসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন মিত্রদেশ নিজেদের প্রতিরক্ষা জোরদারে বিপুল পরিমাণ যুদ্ধাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের ফরমায়েশ দিয়েছে মার্কিন বিভিন্ন অস্ত্র উৎপাদন কোম্পানিকে। মিত্র দেশগুলোর বিপুল পরিমাণ চাহিদা মেটাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে অস্ত্র প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোকে। পেন্টাগনের তথ্য বলছে, গত বছর তুরস্কে ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার এবং ইসরাইলের কাছে ১ হাজার ৮৮০ কোটি ডলার মূল্যের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রির অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। একই সময়ে রোমানিয়ায় বিক্রি করেছে বেশ কয়েকটি এম১এ২ আব্রামস ট্যাংক। যেগুলোর সম্মিলিত মূল্য ২৫০ কেটি ডলার।
২৬/০১/২০২৫; সুরমা টিভি ২৪; সুমাইয়া।