অনলাইন নিউজ ডেস্ক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকার মানবাধিকারকে পদদলিত করে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করেছে। দেশের এমন কোনও জায়গা নেই, যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি। গুম, হত্যা, আয়নাঘর তৈরি করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিপন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা, বাংলাদেশ এই সেমিনারের আয়োজন করেন।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুমের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি নাজিমুদ্দিন আলম, বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামছুল হুদা, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালক ইমাম জাফর শিকদার, আপন শিশু বিকাশ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা উম্নত ভিজান মাখদুম পন্নী প্রমুখ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে বিএনপির ৫০০ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে সেলিমা রহমান বলেন, আন্দোলনের ফসল কোনও একক দলের নয়। আমরা সবাই মিলে আন্দোলন করে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করেছি। এখন আমরা জাতীয় নির্বাচন চাই। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না। আর গণতন্ত্র শক্তিশালী হলেই মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বিএনপির এই সিনিয়র নেত্রী বলেন, সরকারের সমালোচনা করতে হবে। এতে বিরক্ত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আওয়ামী লীগের দোসররা চেষ্টা করছে নানা জায়গায় ঐক্যে ফাটল ধরাতে। সমালোচনার ব্যাপারে আমাদের সবাইকে আরও সহনশীল হওয়া দরকার। সরকার চালাতে হলে অনেক কথা আসবে।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম বলেন, ৫৩ বছর পরেও আমাদের দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। এটা খুবই দুঃখজনক। এখন আমাদেরকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য চিৎকার ও লড়াই করতে হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: সংগৃহীত