পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আইসবার্গটি (হিমশৈল) ক্রমে যুক্তরাজ্যের দুর্গম এক দ্বীপাঞ্চলের কাছাকাছি যাচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দ্বীপের সঙ্গে এটির সংঘর্ষ ঘটবে এবং এর কারণে এ অঞ্চলে বিচরণকারী পেঙ্গুইন ও সিলের মতো প্রাণীগুলো ঝুঁকিতে পড়বে।হিমশৈলটি ক্রমাগত অ্যান্টার্কটিকা থেকে উত্তরে যুক্তরাজ্যের দুর্গম অঞ্চল সাউথ জর্জিয়ার দিকে এগোচ্ছে। এ অঞ্চল বন্য প্রাণীর আশ্রয়স্থল হিসেবেও পরিচিত। হিমশৈল এখন সাউথ জর্জিয়া থেকে ১৭৩ মাইল (২৮০ কিমি) দূরে অবস্থান করছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দ্বীপের সঙ্গে ধাক্কা লেগে হিমশৈলটি টুকরা টুকরা হয়ে যেতে পারে।
অতীতে বড় হিমশৈল এসে ধাক্কা খাওয়ার কারণে সাউথ জর্জিয়ার বরফাচ্ছাদিত সাগরতীর ও খাঁড়িতে বিচরণকারী অগণিত পাখি ও সিল মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে। খাবার সংগ্রহের পথ রুদ্ধ হয়ে এদের মারা যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
সাউথ জর্জিয়া সরকার পরিচালিত ফারস জাহাজের ক্যাপ্টেন সাইমন ওয়ালেস বিবিসি নিউজকে বলেন, ‘হিমশৈলগুলো সহজাতভাবেই বিপজ্জনক। যদি এটা একেবারেই না থাকত, তাহলে আমি অত্যন্ত খুশি হতাম।’বিশ্বের বিজ্ঞানী, নাবিক ও জেলেদের দল ওই হিমশৈলের দৈনন্দিন অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে। স্যাটেলাইটে ধারণ করা ছবিগুলো যাচাই করার মধ্য দিয়ে এর দিকে নজর রাখছে তারা।বিশালাকারের হিমশৈলটি এ২৩এ নামে পরিচিত। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো হিমশৈলগুলোরও একটি।
অ্যান্টার্কটিকার উত্তর দিকের উষ্ণ জলরাশি হিমশৈলটির উঁচু চূড়াগুলো দুর্বল করছে এবং গলিয়ে দিচ্ছে। এগুলো ১ হাজার ৩১২ ফুট (৪০০ মিটার) পর্যন্ত উঁচু হতে পারে; যে উচ্চতা যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে উঁচু ভবন দ্য শার্ডের চেয়ে বেশি।একসময় হিমশৈলটির আকার ছিল ৩ হাজার ৯০০ বর্গকিলোমিটার। স্যাটেলাইটে ধারণ করা সাম্প্রতিক সময়ের ছবিতে দেখা গেছে, এটি ধীরেই ক্ষয় হচ্ছে। বর্তমানে এর আকার কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটারে, যা ইংল্যান্ডের কর্নওয়াল কাউন্টির সমান।
২৫/০১/২০২৫; সুরমা টিভি ২৪; সুমাইয়া।