নয়নের জলে বাঁধিয়াছি বাসা
নয়ন প্লাবনে ভাসে।
বিরহ অনলে করি যাওয়া আসা
মরিরে অনল গ্রাসে।
দুঃখের নগরে আছি রে বসিয়া
খুঁজিতে জীবন সুখ।
প্রেম সুধা মোর গরল হইয়া
সঘনে বিদারে বুক।
আঁধারে বসিয়া আলো খুঁজে ফিরি
তমসা ঘনায় চোখে।
সাধনের যুগল গেল রে টুটিয়া
পাথর হইলাম শোকে।
হৃদয় আসনে যতন করিয়া
বসাইতাম তাঁরে একা।
প্রাণের প্রিয়া ফাঁকি দিয়ে গেল
হৃদয় করিয়া ফাঁকা।
হিয়ার পিঞ্জরে বন্দী করিয়া
দরজা রাখিলাম খুলে।
মৃগ ফাঁদ পাতি মাতঙ্গে ধরিলাম
ছিড়িল সে অবহেলে।
কুলের আশায় অকুল আমি
ভাসাইলাম জীবন তরী।
সহসা সাগরে উঠিল তুফান
একাই ডুবিয়া মরি।
দুই তো ছিলোনা রহিবে না কভু
সে ছিল পরানের পরাণ।
নীরবে ভালোবাসা গুমরে কাঁদিছে
কেমনে পাইবো নিদান।
আরও ভালোবাসা মান অভিমান
কোথায় তাঁহারে দি।
অঙ্গে অঙ্গে জড়ায়ে রহিত
এখন করিছে কি।
বামন হইয়া মথুরার চাঁদ
চাহিলাম আনিতে ধরি।
পাইনা নাগাল সেই শশধরে
বৃথায় প্রয়াস করি।
মিলনের মালা গাঁথিলাম আমি
বিরহে শুকাইলো ফুল।
জানি না কি তবে বাসিতে ভাল
হয়তো আমারই ভুল।
কলঙ্কের ডালি শিরোপরে বহি
কত লোক কত বলে।
কি দুঃখ নিদারুণ ব্যথা
কাহারে বুঝাব বলে।
ভাবিতে ভাবিতে জনম যাইবে
কত আর করিব আশা।
পশে না শ্রবনে করুন আকুতি
বুঝে না নীরব ভাষা।
একা একা আর রহিতে যে নারি
সদাই সন্ধানি তাঁরে।
একটি বার যদি আসিত রে সে
রহিতাম চরন ধরে।
একবার তোরা লয়ে যাবি সখি
যেথায় প্রিয় শশী।
লুকিয়ে হেরিবো দুনয়ন ভরিয়া
তাহাতেই হইবো খুশি।
না জানি কেন যে বিষম বেদনা
আসিছে আঁখিতে বারি।
ভালবাসা কেন এত অসহায়
কিছুতে বুঝিতে নারি।
প্রকাশ: ২১/১/২০২৫/সুরমা টিভি / শামীমা